শিরোনাম :
পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : শিক্ষার্থীরাই চেক করছে যানবাহনের কাগজপত্র
নিরাপদ সড়ক ও দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পঞ্চম দিনেও সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে চেক করছে যানবাহনের বৈধ্য কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স।
বৃহস্পতিবার সকালে ফার্মগেট, কাওরানবাজার, সাইন্স ল্যাব, উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকার রাস্তায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তরায় জসিমউদ্দিন রোড থেকে সব ধরনের যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে সড়ক অবরোধের কারণে। যাত্রাবাড়ীতেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। সাইন্স ল্যাবে অবস্থায়ন নেয় সিটি কলেজ ও ধানমন্ডি এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শাহবাগে রাস্তায় অবরোধ করে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাস থামিয়ে কাগজপত্র ও ড্রাইভারে লাইসেন্স পরীক্ষা করে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র নেই, সেসব গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। তবে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি কাজে নিয়োজিত প্রাইভেট কার, সিএনজি এবং রিকশা নিরাপদে পার করে দিয়েছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
নিরাপদ সড়ক ও বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীকে ‘হত্যার’ বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৯ দফা দাবি উল্লেখ করেছিল।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, দ্রুত তাদের ৯ দফার বাস্তবায়ন চায়। তাদের দাবিগুলো হলো-
১. বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না।
৪. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
৫. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাতে স্প্রিড ব্রেকার দিতে হবে।
৭. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভfর সরকারকে নিতে হবে।
৮. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদেরকে নিতে হবে।
৯. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। আহত হয় বেশ কয়েকজন। এপর থেকেই নিরাপদ সড়কসহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
আরবি.পিআবি.২ আগস্ট ২০১৮