শিরোনাম :
গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন
‘গণতন্ত্রের যেমন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন হয়, তেমনি গণমাধ্যমেরও প্রয়োজন। অর্থাৎ, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা।’ বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
মুন্সিয়ানার জন্য সাংবাদিকদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকা দরকার এবং এতে কনটেন্ট বাছাইয়ে দক্ষতা তৈরি হয় বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ইনু।
সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি হোটেলে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘সম্প্রচার সাংবাদিকতার উন্নয়ন অগ্রগতি: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মিডিয়া মিউজিয়াম অব বাংলাদেশ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কনটেন্ট বাছাই করার দক্ষতা নির্ভর করে সাংবাদিকদের মুন্সিয়ানার ওপর। এজন্য সম্পাদক, সংবাদকর্মীদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকা দরকার। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ইত্যাদি না থাকলে ভালো সংবাদিকতা হবে না। এজন্য গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন। গণতন্ত্রের যেমন প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন হয়, তেমনি গণমাধ্যমেরও প্রয়োজন। অর্থাৎ, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা।
মন্ত্রী বলেন, টিভি সাংবাদিকদের জন্যও ওয়েজবোর্ড হবে। এজন্য ১৯৭৪ সালের আইনটি প্রত্যাবর্তন করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের কাজ শুরু করেছে। ২০১৭ সালের শুরুতেই সম্প্রচার আইন ও সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। এটাই নিরাপত্তা দেবে। মালিকদেরও দেশের প্রচলিত ন্যায়-নীতি, চাকরি বিধি মেনে চলতে হবে।
রাষ্ট্র ও গণমাধ্যমে কমন শত্রু হলো জঙ্গিবাদ। তাই যৌথভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, টিভি ঘটনার ধারণাকেই পাল্টে দেয়। কেননা, এতে ছবি দেখা যায়। তবে টেলিভিশনকে এখন ডিজিটালাইজেশন করা দরকার।
১৯৯৬ সাল থেকে ২১ নভেম্বরকে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘ। সেই থেকে সারা পৃথিবীতেই দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সাংবাদিকরাও মানবাধিকার কর্মী। কারণ, তারা ঝুঁকি নিয়ে মানুষের অধিকার বাস্তবায়নেই কাজ করছে। দুর্ধর্ষ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করছে। আমাদের দেশে অপরাধ করেন প্রভাবশালীরা। পার পেয়েই যাবেন, এমন ধারণা থেকেই তারা অপরাধ করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা এরপরও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। সাহস নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন। এজন্য গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠাকীকরণ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানবাধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কোন প্রতিষ্ঠানের ওপর বর্তায়, তা জেনে সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দরকার। প্রয়োজনে মানবাধিকার কমিশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
বিটিভির মহাপরিচালক হারুণ অর রশিদ বলেন, আগে মানুষ টেলিভিশনের কাছে যেত। আর এখন টেলিভিশনকেই মানুষের কাছে যেতে হয়। তাই টেলিভিশনকে নিউ মিডিয়ার কনটেন্ট নিয়ে যেতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একেএম আব্দুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখসহ আরো অনেকে।
আরবি/আরপি/আরএসআর
২১ নভেম্বর, ২০১৬