শিরোনাম :
‘আদিবাসী জাতি সমূহের দেশান্তর রোধ ও অধিকারের আন্দোলন’ এর প্রেক্ষাপটে ময়মনসিংহে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন
আদিবাসী অধিকার ও স্বীকৃতি বাস্তবায়নের দাবিতে ৯ আগস্ট ময়মনসিংহের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে পালিত হয় আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস। আয়োজনে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি ২০১৮, ময়মনসিংহ।
উদযাপনে অংশ নেয় টিডব্লিএ ময়মনসিংহ, বাগাছাস, গাসু, বাহাছাস, জিএসএফ, আওয়া, ইউসিজিএম ও ময়মনসিংহের অন্যান্য সামাজিক এবং ছাত্র সংগঠন সমূহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক ছিলেন অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, ময়মনসিংহ। জনাব হিল্লোল নকরেক, সভাপতি, আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি ২০১৮, টিডব্লিউএ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখা। সঞ্চালক জনাব অরন্য ই চিরান, মহাসচিব, আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি ২০১৮ ও সাধারন সম্পাদক, টিডব্লিউএ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সম্নানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
সংহতি বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন ” আদিবাসীরা অতি সাধারন ও সহজ সরল। তাদের মধ্যে যেমন রয়েছে ভাষা বৈচিত্র্য তেমন রয়েছে জীবন বৈচিত্র্য। বিশ্বে আদিবাসীরা ৫ হাজারেরও বেশি আদি সংস্কৃতিকে ধারন করে আছে। আদিবাসীরাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংস্কৃতি বৈচিত্র্যের ধারক, তারপরও তারা সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের অনেক দেশই আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ভূমির অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে কিন্তু এখনও বাংলাদেশে এ জনগোষ্ঠী সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী স্বীকৃতি পায়নি। তাই সরকারের কাছে এই বিষয়টি সুনজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই।”
সমাপনী বক্তব্যে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস কমিটির সভাপতি হিল্লোল নকরেক বলেন ” আদিবাসীদের ভূমি ও জীবনের রক্ষায় সরকারসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আদিবাসী জনগনেরও এখন আরো সচেতন হতে হবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায়। দেশের সরকারকে আরোও সংবেদনশীল হতে হবে। যত্নশীল হতে হবে সেই সব সংস্কৃকির ধারক ও বাহকদের রক্ষা করার জন্য। তবে বর্তমান সরকার আদিবাসীদের জন্য সমস্যা সমাধানে কিছু কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছে যা আশা ব্যঞ্জক। সমস্যা জর্জরিত আদিবাসী জনগনের প্রত্যাশা হলো বাংলাদেশ সরকার সংবিধানে তাদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, ক্ষমতায়নের জন্য মহান সংসদে ৫% কোটা বরাদ্দ করা, সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, ভূমি কমিশন গঠন ইত্যাদি।”
অনুষ্ঠান শেষে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিন করে ময়মনসিংহের জেলা পরিষদ পর্যন্ত এবং জেলা প্রশাসকের হাতে তোলে দেওয়া হয় স্মারকলিপি।