শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান
আদিবাসী জাতিসমূহের দেশান্তর: প্রতিরোধের সংগ্রাম প্রতিপাদ্য নিয়ে (বৃহস্পতিবার) ৯ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন কর হয়।
এ উপলক্ষে র্যালি ও আদিবাসীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বেলা ১০ টায় বিভিন্ন আদিবাসীরা দলে দলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার অফিস প্রাঙ্গনে উপস্তিত হতে থাকে। শ্রীমঙ্গল শাখার বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি পংকজ কন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রনীন্দ্র কুমার দেব। প্রধান অতিথির উদ্ধোধনীর মাধ্যমে উপস্তিত বিভিন্ন আদিবাসী নেএীবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
আদিবাসীরা ব্যানার নিয়ে উপজেলা চও্বর হয়ে গৌহ রোড, কলেজ রোড, মূল চৌমূনার রাজপথের মধ্য দিয়ে উপজেলা পৌরসভা শহীদ মিনার পযর্ন্ত্য র্যালিটি সমাপ্তি করে।
এদিকে বিকেলে শ্রীমঙ্গল শ্রমিক সাধু যোসেফ ধর্মপল্লীর নটরডেম জুনিয়র স্কুলের হল রুমে আদিবাসী ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গারো, খাসিয়াসহ বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্য পরিবেশিত হয়।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের আহব্বানে কেন্দ্র করে বক্তরা বক্তব্যে তুলে ধরে:
০১.আদিবাসী জাতসমূহের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ আদিবাসীদের উপর সকল প্রকার নিপীড়ণ ও নির্যাতন বন্ধ করার লক্ষ্যে একটি আদিবাসী অধিকার সুরক্ষা প্রণয়ন করা।
০২. মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করে আদিবাসীদের জোরপূর্বক দেশান্তরকরণ বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
০৩. আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং জাতীয় বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা;
০৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে যথাযথ বাস্তবায়ন করা এবং এ লক্ষ্যে সময়সূচি- ভিওিক কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষনা করা; ভূমি কমিশন আইন অবিলম্বে কার্যকর করা।
০৫. জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে গৃহীত আদিবাসী অধিকার বিষয়ক ঘোষনাপএ অনুসমর্থন ও বাস্তবায়নকরা। আইএলও কনভেনশন ১০৭ বাস্তবায়নন ও ১৬৯ নং অনুসাক্ষর করা।
০৬. সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি কমিশনগঠন করা। মধুপুর গড়ে গারো ও কোচদের ভূমিতে ঘোষিত রির্জাভ ফরেস্ট বাতিল করা।
০৭. মৌলভীবাজার জেলার ঝিমাই ও নাহার খাসিয়া পুঞ্জির খাসিয়াদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা এবং চা বাগানের লিজ বাতিল করা।
০৮. আদিবাসী নারীদের নিরাপওার জন্য ব্যবস্হা গ্রহন করা এবং তাদের এ পর্যন্ত্য যে সমস্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা (ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা, অপহরণ, বৈষম্য-নির্যাতন ইত্যাদি) ঘটেছে সেসব ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে আরো উপস্তিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি ইসমাইল মাহমুদ, শ্রীমঙ্গল আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরনময় সিং, শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ, শ্রীচুক সংগঠনের ও পার্থ হাজং। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী জনগন ও নেএীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ।