শিরোনাম :
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন
আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিদ্যালয় পরিবার।
সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী’র নেতৃত্বে শোক র্যালি বের হয়। র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রশাসনের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী। উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ।
এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, সকল অনুষদের ডিন, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, ফার্মেসি বিভাগ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইটিই বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, আইসিই বিভাগ, পদার্থ বিভাগ, রসায়ন, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, লোকপ্রশাসন বিভাগ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাবিপ্রবি শাখা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
১৫ আগস্টের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনায় সব সময় ছিল বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক। তিনি সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের পথ দেখিয়েছেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মর্যাদার সহিত উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বাঙালির ভাগ্য নির্ধারণের জন্য তাঁর সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’
অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মুশফিকুর রহমান, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আওয়াল কবির জয়, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিএম শামসাদ ফখরুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের আহবায়ক মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের আহবায়ক তাওহিদা খানম, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জামশেদ পলাশ, ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু।
বাদ যোহর উপ-উপাচার্য আনোয়ারুল ইসলামের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মসজিদে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা