শিরোনাম :
বাংলার কাঠঠোকরা পাখির খোঁজে
অনেকের মুখে প্রচলিত আছে পাখিদের কাঠমিস্ত্রী হলো কাঠঠোকরা। প্রচন্ড রৌদ্রের মাঝে শুনা যাচ্ছে গাছের মধ্যে কি হচ্ছে। খেয়াল করলে দেখা যায় গাছটিকে ঠুকরে ঠুকরে গর্ত করে চলেছে।
শ্রীমঙ্গলের চাউতলী বন বিভাগের বন কর্মকর্তাদের আবাস স্হলের পাশে দেখা হলো বাংলার কাঠঠোকরা। গবেষণায় জানা যায় বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতির পাখি গুলো সংরক্ষিত। এদেশে ২ ধরনের কাঠঠোকরা দেখা যায় কিন্তুু সমস্ত ভারতবর্ষে ৫৬ প্রজাতির কাঠঠোকরা রয়েছে।
সারা পৃথিবীতে সীমিত এলাকা জুড়ে বিস্তৃত প্রায় ৩০ লক্ষ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আবাস। এদিকে বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়াও এরা বিপদ গ্রস্ত ও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষ্ণরা।
কাঠঠোকরাকে ইংরেজিতে বলে Woodpecker ও বৈজ্ঞানিক নাম Dinobium benghalense। এদেশের কাঠঠোকরার দৈর্ঘ্য বেশ বড়সড়। প্রায় ২৬-২৯ সেমি। ওজন ১০০ গ্রাম, ডানা ১৪.২ সেমি, ঠোঁট ৩.৭ সেমি, পা ২.৫ সেমি, ও লেজ ৯ সেমি। পাখিটির গাঁ সাদাকালো পালকে ঢাকা থাকে, মাথায় লাল ঝুটি ওয়ালা। ঠোঁট লম্বাটে ও নখ ধার থাকে। তবে লাল ঝুঁটি শুধু পুরুষ কাঠঠোকরাদেরই থাকে। আবার দেখা যায় খয়েরি রঙের আছে কাঠঠোকরা।
গাছের মধ্যে আমাদের অলক্ষ্যে পোকামাকর গুলো থাকলেও প্রকৃতির প্রেরণাই কাঠঠোকরা পোকামাকর গুলোর অবস্হান সহজেই খুঁজে নিতে পারে। তাই এরা গাছ নষ্ট করে না বরং গাছের পোকামাকর খেয়ে গাছের উপকারীই করে। তাইতো শুকনো পচা ডালপালার ভিতরে যে খাবার থাকে তা লম্বা ঠোঁট দ্বারা খাবার সংগ্রহ করে জীবন ধারণ করে। আবার গাছের মধ্যে গর্ত করে বাসা তৈরি করে তাতে দেখা যায় ধবধবে সাদা ডিমগুলো। যেখান থেকে জন্ম নেবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার এই কাঠঠোকরা পাখি গুলো।
আরবি.এসপি. ২৮ আগস্ট ২০১৮