শিরোনাম :
বটিয়াঘাটার জলমায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন, বিশেষ সঞ্চয়, স্বাস্থ্যক্যাম্প, সমৃদ্ধ বাড়ি ও স্কুল প্রতিষ্ঠা কর্মসূচী
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উন্নয়ন’ এর বিভিন্ন কর্মসূচী দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন দাতা সংস্থা ডিএফআইডি, ইইউ এবং পিকেএসএফ প্রতিনিধিবৃন্দ। ভিক্ষুক পুনর্বাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়সহ প্রতিটি পদক্ষেপকেই সুশৃংখল, পরিকল্পিত এবং জনসাধারনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলেও উল্লেখ করলেন তারা।
সোমবার দিনভর বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে পরিচালিত এসব কর্ম এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএফআইডি’র বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. জিম মেকালপাইন, ডিএফআইডি’র লাইভলিহুড এন্ড নিউট্রিশন এডভাইজার ড. সিমন ফিল্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মরিয়ম এল হারাউসী, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. মো: জসিম উদ্দিন, জেনারেল ম্যানেজার একিউএম গোলাম মওলা ও ড. শরীফ আহমেদ চৌধুরী, ডিএফআইডি’র সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার তাহেরা জেবিন ও আনোয়ারুল হক এবং লাইভলিহুড এডভাইজার এবিএম ফিরোজ আহমেদ।
এছাড়া উন্নয়নের নির্বাহী পরিচালক এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, জলমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আশিকুজ্জামান আশিকসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
যারা আগে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করলেও এখন উন্নয়নের কাছ থেকে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা নিয়ে কেউ দোকান দিয়ে আবার কেউ চায়ের দোকান ইত্যাদি ব্যবসা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
উন্নয়ন’র পরামর্শে সেখানকার বেশকিছু সদস্য নিজেরাই নিজেদের অর্জিত অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় জমিয়ে বিশেষ সঞ্চয় করেন। এর ফলে সঞ্চিত অর্থের সমপরিমান অর্থ উন্নয়ন থেকে দিয়ে তাদের কাউকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে অথবা কাউকে বাড়ি করার জন্য সহায়তা দেয়া হয়। এতে ওই এলাকার অনেকেই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের জীবন-মানেরও উন্নয়ন ঘটছে।
চক্রাখালী মুক্তিযোদ্ধা অফিসের উন্নয়নের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গতকাল চলছিল মাসিক স্বাস্থ্য ক্যাম্প। এতে এলাকার শতাধিক নারী দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। প্রতি মাসে এভাবে একবার স্বাস্থ্যক্যাম্প হয় সেখানে। এর বাইরেও উন্নয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা প্রতিনিয়ত প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন। বিশেষ করে গর্ভবর্তী মায়েরা উন্নয়ন কর্মীদের পরামর্শেই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন বলেও জানান।