শিরোনাম :
পরিবহন ধর্মঘটে সারাদেশেরর মতো চট্টগ্রামেও চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
সারাদেশে গতকাল থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
বিশেষ করে দুরপাল্লার যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। তাছাড়া রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বজনেরা। দূর্ভোগ থেকে বাদ যায়নি কর্মজীবী নারী ও স্কুলগামী শিশুরাও। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
কর্মজীবি নারী হোসনে আরার অফিস আগ্রাবাদে, তিনি থাকেন মুরাদপুরে। প্রতিদিন অফিসে যান বহদ্দারহাট-আগ্রাবাদ রুটের বাসে। ধর্মঘট থাকায় অপেক্ষা করছিলেন গাড়ির জন্য। কিন্তু সীমিত সংখ্যক রিক্সা ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সা রাস্তায় থাকায় ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ, তিনগুণ। তিনি জানান, ‘যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ১২০টাকা, সেখানে গতকাল গিয়েছি ৩০০টাকায়। আজ এখনো অপেক্ষা করছি যেকোন একটি পরিবহনের জন্য’।
নগরীর মুরাদপুর, লালদিঘি, আগ্রাবাদের মত ব্যস্ততম সড়কে বড় কোন বাস চলতে দেখা যায়নি। পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলে রওনা হয়েছেন অনেকেই।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রুটটি ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে। তাই ভর্তি পরিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। তবে শহরের পরীক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম-হাটহাজারী বাস ষ্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পরিবহন ধর্মঘট চলায় রেল স্টেশনে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীরা ভিড় করছে ট্রেনের টিকেটের জন্য। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে তাও মিলছে না।
উল্লেখ্য, পরিবহন শ্রমিকদের ৮ দফা দাবির মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনা মামলা জামিনযোগ্য করা, চালকদের অর্থথদন্ড ৫লাখ না করা, চালকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণির পরিবর্তে পঞ্চম শ্রেণি করা, দূর্ঘটনা মামলা তদন্ত কমিটিতে পরিবহন শ্রমিক প্রতিনিধি রাখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
আরবি.এমডিসি. ৩০ অক্টোবর ২০১৮