শিরোনাম :
আদিবাসী গারোদের ওয়ানগালা উৎসব
শস্য উৎসর্গের ধন্যবাদ স্বরূপ বাংলাদেশের গারো জনগোষ্ঠি পালন করলো ওয়ানগালা উৎসব।
৯ নভেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকায় গারো সম্প্রদায় এই উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবে বাংলাদেশ সরকারের রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘পৃথিবী যতদিন থাকবে, গারোদের ঐতিহ্যা ততোদিন থাকবে। কেননা গারোরা হলো আদিবাসী এবং এই ভূখন্ডের পুরানো বাসিন্দা।’
গারো সম্প্রদায় সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়, তাই তাদের ধন্যবাদ। গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য রক্ষায় কখনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে, আমি আপনাদের পাশে থাকবো।’ বলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ ১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা উত্তরের ৮ নং ওয়ার্ডের কমিশনার জাকির হোসেন বাবুলসহ আরো অনেকে।
উৎসব উপলক্ষে গারো সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় রুপ নেয়। অনুষ্ঠান স্থানে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পোষাক, খাবার, বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার, বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে মেলার পসরা বসে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রাচীন জনগোষ্ঠির একটি হলো গারো সম্প্রদায়।আবহকাল বাংলার কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ধারণ করে তারা বেঁচে রয়েছে।বাংলাদেশে গারো সম্প্রদায়ের মানুষ খ্রিষ্টান হওয়ার পর থেকে তারা কাথলিক সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টরাজার পর্ব হিসেবেও ওয়ানগালা উৎসবটি পালন করে আসছে।
‘ওয়ানগালা’ ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব। আদিবাসী গারোদের বিশ্বাস, শস্য দেবতা বা ‘মিশি সালজং’ পৃথিবীতে প্রথম ফসল দিয়েছিলেন এবং তিনি সারা বছর পরিমাণমতো আলো-বাতাস, রোদ-বৃষ্টি দিয়ে ভালো শস্য ফলাতে সহায়তা করেন। তাই নবান্নে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময়,মিশি সালজং’কে ধন্যবাদ জানাতে উৎসবের আয়োজন করে গারোরা। ফসল দেবতাকে উৎসর্গ না করে তারা কোনো খাদ্য ভোগ করে না।
ডিসিনিউজ/আরবি.আরপি. ৯ নভেম্বর ২০১৮