শিরোনাম :
সিটিএসপি’র ষান্মাসিক সমন্বয় ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মতবিনিময় সভা
‘কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে প্রান্তিক ছেলে-মেয়েরা যেন স্বাবলম্বী হয়, কেউ যেন রাস্তায় না ঘুরে, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি’ কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল প্রকল্পের (সিটিএসপি) ৩১তম ষান্মাসিক সমন্বয় ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সভায় এ কথা বলেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডমিনিক দিলু পিরিছ।
১৪-১৫ নভেম্বর মটস্রে আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও ভবন হলরুমে সিটিএসপির প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়ে ষান্মনিসক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্মী ও বিভিন্ন কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মসংস্থান বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রকল্প ব্যবস্থাপক পিরিছ বলেন, ‘আমরা যে বিষয়ে পড়াশুনা করি, অনেক সময় সেই সেক্টরে পেশা নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। অন্য সেক্টরেও পেশাদারি স্পেশালিষ্ট হয়ে উঠতে পারি। সে কারণে আমাদের অবশ্যই মোটিভেশন প্রয়োজন। মূলত, কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে প্রান্তিক ছেলে-মেয়েরা যেন স্বাবলম্বী হয়, কেউ যেন রাস্তায় না ঘুরে, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’
তিনি বিভিন্ন কোম্পানীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আমাদের যেসকল ছেলে-মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনাদের কোম্পানীতে যোগ দেয়, তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর দিবেন। সরকার সর্বনি¤œ মজুরী নির্ধারন করেছে, আশা করি আপনারা সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে মটস্ পরিচালক আখিলা ডি’রোজারিও বলেন, ‘সরকার কারিগরি সেক্টরে বিশেষ নজর দিয়েছে। আর্থিক সহায়তা দিয়ে কারিগরি সেক্টরে দক্ষ শ্রমিক সৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করছে।’
‘বর্তমানে ভোগবাদ ও বস্তুবাদ সময়ে মানুষের চাহিদা অসীম। সে কারণে হয়তো কেউ কেউ অল্প মজুরীতে কাজ করতে চায় না। তাই তাদের মুজরীর দিকেও নজর দিতে হবে। তাছাড়া আমরা প্রশিক্ষণার্থীদের সব সময়ই উৎসাহ দিয়ে বলি, একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে লেগে থাকলে মূল্যায়ন পাওয়া যায়।’ বলেন পরিচালক ডি’রোজারিও।
এ ছাড়াও তিনি প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য উপস্থিত কোম্পানীর কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন মটসের মার্কেটিং ম্যানেজার মার্টিন প্রামাণিক, ট্রেনিং ম্যানেজার এবং বিভিন্ন কোম্পানীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল প্রকল্প (সিটিএসপি) সারা দেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ছেলে-মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তুলছে। এই প্রকল্পের অধিনে আঞ্চলিক টেকনিক্যাল স্কুল, ভ্রাম্যমান টেকনিক্যাল স্কুল এবং কমিউনিটি বেইজ টেকনিক্যাল স্কুলের মাধ্যমে এক বছর এবং স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করে থাকে।
ডিসিনিউজ/আরবি.আরপি. ১৫ নভেম্বর ২০১৮