ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ২১তম শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি পালন

খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ২১তম শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি পালন

0
446

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোরদার করুন’ বলে ঘোষণা করেছেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রফুল্ল কুমার চাকমা।

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মিলনপুর মার্মা উন্নয়ন সংসদের কনফারেন্স হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) আয়োজনে শান্তিচুক্তির ২১তম বর্ষপূর্তি উৎযাপন করা হয়।

কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরার সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রফুল্ল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুমেত চাকমা, মহাজনপাড়ার বিশিষ্ট মুরুব্বী ও উপজাতীয় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব সমিতির সভাপতি প্রত্যয় চাকমা, কেন্দ্রীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী ববিতা চাকমা প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ তারিখে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার কারনে এই অঞ্চলে এখনো অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। চুক্তির মূল বিষয়গুলি হলো-পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এখনও সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়নি, ভারত প্রত্যাগত শ্বরনার্থীরা এখনো তাদের নিজ বাস্তভিটা ফিরিয়ে পায়নি, আভ্যন্তরীণ শ্বরানার্থীরা তাদের জায়গা জমি ফেরৎ পায়নি, অবৈধ অনুপ্রবেশ সেটেলার বাঙালীদের সরিয়ে নেওয়া হয়নি এবং আদিবাসীদের দখলীয় জায়গা-জমিগুলো পুনরুদ্ধার হয়নি, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ক্ষমতাসীন সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়নি, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী থেকে পুলিশ বাহিনী দেওয়া হয়নি, আদিবাসীদের উপর সেনা নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা হয়নি, পাহাড়ী-বাঙালী সমস্যা নিরসন হয়নি, সকল ক্ষেত্রে আদিবাসীদের নিপিড়ন নির্যাতন অত্যাচার ও বঞ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের মুক্তির সনদ। দীর্ঘ ২৪ বৎসর সশস্ত্র আন্দোলনের ফসল এ্ই চুক্তি। যেন আদিবাসীরা নিজেদের অধীনে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না করে সরকার চুক্তিবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে জিঁইয়ে রেখে ভ্রাতৃঘাটি সংঘাত সৃষ্টি করে চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন না করার ষড়যন্ত্র করছে। অচিরেই এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা না হলে আবারও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

ডিসিনিউজ/আরবি.এনপিসি. ৪ ডিসেম্বর ২০১৮