শিরোনাম :
শ্রদ্ধা ভরে মহান বিজয় দিবস পালন
আজ রবিবার দেশব্যাপী উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পালন করা হয় ৪৭তম মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়।
৯২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে বিজয়ের গৌরবে উড়তে থাকে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সেই সাথে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় মুক্তিযোদ্ধোদের আত্মার চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা অনুষ্ঠান হয়।
রবিবার ভোর সাড়ে ৬টায় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে বীর শহীদদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৮টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
ভোরে আলো ফোটার সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকালে তেজগাঁও গির্জায় দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ উপাসনার আয়োজন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আর গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন মহান স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা ক্রেডিট এবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পিটার রতন কোড়াইয়া, প্রতাপ আগষ্টিন গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় মানুয়্যাল ডি’প্যারেস, জেমন সুব্রত হাজরা, থিউফিল রোজারিও, জন অরুনেশ বাড়ৈ, স্বপন রোজারিও, ভিক্টর রে, এলডার মাইকেল এ শাহ, মোশী মন্ডল, রবার্ট সাইমন গমেজসহ আরো অনেক।
এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় দলসহ আপামর জনতা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।