শিরোনাম :
পানির অভাবে বোরো ধানের চাষ হচ্ছে না
পানির অভাবে ইছবপুর এলাকার হাইল হাওর সংলগ্ন প্রায় দশ হেক্টর ফসলি জমিতে সম্প্রতি ফসল আবাদ হচ্ছেনা।
কৃষকরা জানান বোরো মৌসুমে চাঁদা না দেওয়ার অজুহাতেই সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক পানি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
সমিতির সভাপতি আসাদ মিয়া বলেন আমি সমিতির সদস্যদের (কৃষক) কাছ থেকে বিগত দুই বছরের বকেয়া পাওনা টাকা পাইনি তাই পানি দেওয়া বন্ধ করে রেখেছি। সদস্য চাঁদা (টাকা) না দিলে পানি কি ভাবে দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন ফসলের মাঠে পানি না থাকলে চাষাবাদ হবে না কিন্তুু এ বিষয়ে ব্যবস্হাপনা কমিটির কোন প্রদক্ষেপ নেই। তারা উল্টো একর প্রতি ৪০০ টাকা করে না দিলে কৃষকদের পানি দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
কৃষকরা আরো বলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আমরা ৫০ জন কৃষক অভিযোগ জানিয়েছি এখন পর্যন্ত্য কোন প্রতিকার পাইনি।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজান মিয়া বলেন গত বছর ২০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে সুইচ গেইট সমিতিকে দিয়েছি। এবার নানা অজুহাতে পানি দেওয়া বন্ধ করেছে। কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। গেইট সমিতির ও কৃষকদের সাথে বসার কথা বলছি কিন্তুু তারা সময় দিতে পারছে না। এদিকে পানি না পাওয়ায় কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছে না।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন কৃষকরা আমার কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছে। আমি এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্হা নিতে নিদের্শ দিয়েছি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।
এই বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন সুইটি বলেন পানি বন্ধ রাখার কোন নিয়ম সমিতির কোন কর্তা বা ব্যক্তির নেই। আমার উপসহকারীর মাধ্যমে কৃষকদের সাথে কথা বলে তাদের সাথে বসার জন্য একটি তারিখ চেয়েছি। সমস্যাগুলো জানা এবং সমাধানের জন্য সব পক্ষকেই আগামী সপ্তাহেই বসতে চাচ্ছি।
এদিকে কৃষকদের আরো মন্তব্য যে প্রভাবশালী বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের সাথে সমঝোতাই এই কাজ করেছে। উদ্দেশ্য ধানক্ষেতে পানি দিলে কৃষকরা ক্ষেতে ফসল ফলালে তারা ক্ষেত থেকে মাটি ও ছড়া থেকে বালু তুলতে পারবেনা।
ডিসিনিউজ/আরবি.এপি. ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯