শিরোনাম :
‘শিশুদের শৈশব স্বপ্নের মতো’: ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে বইমেলা ও পিঠা উৎসব
‘শিশুদের শৈশব স্বপ্নের মতো। তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে, নিবিড় বন্ধন তৈরি করে দেওয়া প্রয়োজন’ বলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুজ গমেজ।
ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত একুশে বইমেলা ও পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের প্লেগ্রাউন্ডে দিনব্যাপী একুশে বইমেলা ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের শিশুরা, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকমন্ডলী এবং সাধারণ জনগণ এই উৎসবে অংশ নেয়।
বইমেলা ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিগসের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের সিইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গমেজ, আরএনডিএম সম্প্রদায়ের প্রভিন্সিয়াল সুপিরিয়র সিস্টার রেবা ভেরনিকা ডি’কস্তা আরএনডিএম, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা সাইমন গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের এসিইও লিটন টমাস রোজারিওসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাবু মার্কুজ গমেজ আরো বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট শিশুদের সৃজনশীল গঠনের জন্য এই চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিকমানের সাতটি চাইল্ড কেয়ার পরিচালনাকারী কনসালটেন্ট দ্বারা ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানকার প্রিন্সিপালসহ শিক্ষকদের সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ারে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে, আমরা কোনো কিছুর সাথে আপোষ করিনি।’
‘ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার শুধু খ্রিষ্টানদের নয়, এখানে সকল ধর্মের, সকল শ্রেণির ছেলে-মেয়ে সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে। আশা করছি অতি শীঘ্রই এই চাইল্ড কেয়ার একটি আদর্শ হয়ে উঠবে’ বলেন প্রেসিডেন্ট গমেজ।
এ দিন আরো বক্তব্য রাখেন ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের সিইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গমেজ, সিস্টার রেবা ভেরনিকা ডি’কস্তা আরএনডিএম, ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা সাইমন গমেজ, প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিগস এবং অভিভাবক মো. সোহেল ইকবাল।
তারা বলেন, আমরা শিশুদের জন্য এই আয়োজন দেখে সত্যিই কৃতজ্ঞ। এই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের দেওয়ার জন্য একদিন গ্রীণ হেরাল্ড, এজি চার্চের স্কুলের মতো লাইন পরবে।’
‘আজকের এই আয়োজন শিশুদের বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে সাহায্য করবে। এই আয়োজন শিশুদের ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করবে। আজ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, বইমেলা ও পিঠা উৎসব সবই বাঙালির অবিচ্ছেদ্দ অংশ। আমাদের জাতীয় চেতনায় সাংস্কৃতিক চর্চার একটি ভাল আয়োজন এটি’, বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা ফিতা কেটে বই মেলা ও পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এর পর প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও উপস্থিত সকলে চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে নির্মিত শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেন্টারের শিশুদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বইমেলা ও পিঠা উৎসবে অতিথি ও শিশুরা বই ও পিঠা স্টলে ঘুরে ঘুরে বাঙালিয়ানার স্বাদ গ্রহণ করেন।
ডিসিনিউজ/আরবি.আরপি. ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯