শিরোনাম :
খ্রিষ্টান সমাজের নন্দিত যে নারীরা: ঢাকা ক্রেডিটের সম্মাননা প্রদান
ঢাকা ক্রেডিট কর্তৃক খ্রিষ্টান সমাজের দশ জন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ঢাকা ক্রেডিটের নারী কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ৯ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি এমপি উপস্থিত থেকে এই সম্মাননা ক্রেস্ট নন্দিত নারীদের হাতে তুলে দেন। ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুর্জ গমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপি। গেস্ট অব অনার ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য রেমন্ড আরেং, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতালের সিইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গমেজসহ ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তাবৃন্দ।
নন্দিত যে নারীরা:
অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসন
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
জন্ম : ১০ জানুয়ারি, ১৯৭৯
স্বামী : মিন্টু মোহন্ত
পিতার নাম : সুশান্ত সরকার (শিকারী)
মাতার নাম : সুপ্রিয়া সরকার
ছেলে-মেয়ে : ১ ছেলে, ১ মেয়ে
ধর্মপল্লী : চালনা
পেশা : আইনজীবী
সিস্টার রেবা ভেরোনিকা ডি’কস্তা আরএনডিএম
শিক্ষা ও সমাজ সেবা
জন্ম : ২৬ মে, ১৯৫৭
পিতার নাম : আলম আর্নেষ্ট ডি’কস্তা
মাতার নাম : নির্মলা ফিলোমিনা গমেজ
ধর্মপল্লী : নাগরী
পেশা : প্রভিন্সিয়াল সুপ্রিয়র, আরএনডিএম
মিউরেল গমেজ
জাতীয় ক্রিড়াবিদ
জন্ম : ৪ ডিসেম্বর ১৯৬৪
পিতার নাম : দমিঙ্গো গমেজ
মাতার নাম : নিম্ফা গমেজ
ধর্মপল্লী : বড় গোল্লা
পেশা : গেমস টিচার, গ্রীণ হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
সিস্টার নিবেদিতা রেবেকা রিবেরু এসএমআরএ
সেবিকা (স্বাস্থ্য সেবা)
জন্ম : ২ এপ্রিল, ১৯৪৬
পিতার নাম : মিনু রিবেরু
মাতার নাম : রজা কোড়াইয়া
ধর্মপল্লী : তুমিলিয়া
পেশা : ব্রতধারিণী (নার্সিং)
ইরা দিব্রা
সেবিকা (স্বাস্থ্য সেবা)
জন্ম : ১৭ অক্টোবর, ১৯৫৫
স্বামী : অতুল দ্রং
পিতার নাম : আলী মারাক
মাতার নাম : আলাপ মনি দিব্রা
ছেলে-মেয়ে : ১ ছেলে
ধর্মপল্লী : ধোবাউড়া, ধাইরপাড়া
পেশা : নার্সিং
পুষ্প কলেটা গমেজ
শ্রেষ্ঠ সমবায়ী
জন্ম : ৬ আগস্ট, ১৯৫১
স্বামী : মন্টু গমেজ
পিতার নাম : ফ্রান্সিস গমেজ
মাতার নাম : মেরি গমেজ
ছেলে-মেয়ে : ২ ছেলে, ১ মেয়ে
ধর্মপল্লী : বড়গোল্লা
পেশা : উদ্যোক্তা
মার্সেলা গমেজ
শ্রেষ্ঠ সমবায়ী
জন্ম : ১৬ আগস্ট, ১৯৫৫
স্বামী : গ্যাষ্টিন গমেজ
পিতার নাম : ডানিয়েল রোজারিও
মাতার নাম : মনিকা রোজারিও
ছেলে-মেয়ে : ১ ছেলে, ২ মেয়ে
ধর্মপল্লী : তেজগাঁও চার্চ
পেশা : ব্যাবসায়ী
উমা ম্যাগডেলিন গমেজ
শ্রেষ্ঠ সমবায়ী
জন্ম : ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬
স্বামী : যোসেফ গমেজ
পিতার নাম : সেবাষ্টিন গমেজ
মাতার নাম : রেবেকা গমেজ
ছেলে-মেয়ে : ১ ছেলে, ২ মেয়ে
ধর্মপল্লী : হাসনাবাদ
পেশা : গৃহিনী
অসীমা সরকার
শিক্ষা সেবা
জন্ম : ৩১ মে, ১৯৪১
স্বামী : ড. রেভা সাইমন সরকার
পিতার নাম : মনোরঞ্জন হালদার
মাতার নাম : সুচারু হাসিনী হালদার
ছেলে-মেয়ে : তিন ছেলে
ধর্মপল্লী : ফরিদপুর মিশন (ব্যাপ্টিস্ট চার্চ)
পেশা : শিক্ষক
সুচরিতা হাদিমা
ব্যাবসায়ী
জন্ম : ১০ নভেম্বর ১৯৮০
স্বামী : শ্যামল নকরেক
পিতার নাম : ক্লেমেন্ট ¤্রং
মাতার নাম : প্রেমিতা হাদিমা
ছেলে-মেয়ে : ১ ছেলে, ১ মেয়ে
ধর্মপল্লী : জলছত্র
পেশা : বিউটি পার্লার ব্যাবসায়
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে উদ্যোগী নারী সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় ঢাকা ক্রেডিটের নারী উপকমিটি। সমিতির এই নারী উপকমিটি সর্ব বৃহৎ কলেবরে গত একযুগ ধরে ৪০ হাজার সদস্যের ঢাকা ক্রেডিট সমিতির নানা কর্মকান্ডে অনন্য অবদান রেখে দীপÍ পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। সমিতির সকল উপকমিটির সাথে একাত্ম হয়ে নারী উপকমিটিও নানা প্রডাক্ট, ব্যবসায়িক ও সামাজসেবাভিত্তিক প্রকল্পগুলোর গুণগত মান নিশ্চয়তায় লক্ষ্যে কার্যকর অবদান রেখে চলেছে।
বিগত সময় থেকে আজ পর্যন্ত নারী উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বেকার ও অনগ্রসর নারী ও যুবতীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আয় বৃদ্ধি, সমিতির সদস্যদের সন্তানদের সম্পৃক্ত করে নৈতিক ও আধ্যাতিক সেমিনার, যুবক-যুবতীদের নিয়ে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন রচনাসহ মর্যাদাপূর্ণ জীবন গঠনের দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা, উদ্যোক্তা হওয়ার প্রত্যাশী নারীদের চাইনিস রান্নার প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক মা দিবস পালন করে কৃতী মায়েদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদানের আয়োজন, নারী উন্নয়নের বিষয় নিয়ে নারী সদস্যদের সচেতনতামূলক সেমিনার, নেতৃত্ব উন্নয়ন-বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ।
নারী উপকমিটি মূলত ঢাকা ক্রেডিট সমিতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারী কমিটির সদস্যরা সমিতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-জাকজমকপূূর্ণ অনুষ্ঠান ও আয়োজনগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করে জরুরি অবস্থায় সদস্যদের সেবা দিয়ে থাকেন। তারা সমিতির ত্রিবার্ষিক কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন; আবার কার্যক্রমের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে মূল্যায়ন সভায় অংশ নিয়ে নানা দিকনির্দেশনামূলক মতামত দিয়ে সমিতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন।