ঢাকা ,
বার : শুক্রবার
তারিখ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সপ্তাহব্যাপী সায়েন্স অলিম্পিয়াড এবং বার্ষিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর্দা উন্মোচন

সপ্তাহব্যাপী সায়েন্স অলিম্পিয়াড এবং বার্ষিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর্দা উন্মোচন

0
640

বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চাকে গুরুত্ব দিয়ে গত ৯ই মার্চ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ১১তম সায়েন্স অলিম্পিয়াড এবং বার্ষিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৭১ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার তাকসীম এ. খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওয়াসা, ঢাকা, ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ সিএসসি, অধ্যক্ষ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ব্রাদার ত্বরেন পালমা, সিএসসি, ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ; সুখেন চন্দ্র, মডারেটর, গ্রেগরীয়ান সায়েন্স ক্লাব; হিমন এডওয়ার্ড গমেজ, মডারেটর, গ্রেগরীয়ান কালচারাল ক্লাব।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত এবং গ্রেগরীয়ান সং-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। ব্রাদার ত্বরেন পালমা, সিএসসি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞান হলো অনুসন্ধান লব্ধ জ্ঞান। এই গবেষণা লব্ধ সত্যকে শুধু অনুসন্ধান নয় বরং কাজেও ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেহ পরিচালিত হয় ঐশ্বরিক শক্তির গুণে আর সংস্কৃতমনা কার্যক্রম আমাদের দেহকে সুস্থ, সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞান চর্চা ও সংস্কৃতি চর্চাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আমাদের যুগের সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার তাকসীম এ. খান বলেন, বিদ্যালয়ের সাথে আমাদের আত্মার যোগ রয়েছে। আমি গর্বিত, আমি একজন গ্রেগরীয়ান। মেধা বিকাশের অন্যতম পথ বিজ্ঞান মেলা। প্রত্যেককেই ভালো ছাত্র হতে হবে, সাথে সাথে অন্য মেধারও প্রকাশ ঘটাতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, অঙ্কন করা পরবর্তীতে সফল মানুষ গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন, শেকড়ের মূল্য যে দেয় না সে মানুষ নয়। ঢাকার অন্যান্য বিদ্যালয়কে বিজ্ঞানমেলা ও অলিম্পিয়াডে সুযোগদানকে তিনি সাধুবাদ জানান।

প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সিএসসি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অংশগ্রহণ করা এবং নতুন কিছুু শেখাই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য। এটা শুধু গ্রেগরীর উৎসব নয়। এর মাধ্যমে আমরা পরস্পরকে জানা, দেখা, বোঝার এবং শ্রদ্ধা করার সুযোগ পাই। তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি চর্চা আমাদের জীবনে শৃঙ্খলা আনে। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আমরা ভালো মানুষ হবো এবং অন্যকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করব। যে কোন ধরনের আসক্তি থেকে সংস্কৃতি চর্চা আমাদের মুক্তি দিতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

একঝাঁক শিশু, তরুণ ছাত্রদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন বিভাগ ভিত্তিক কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, দেশাত্ববোধক গান, একক অভিনয়, ছড়া গান, ধারাবাহিক গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জুনিয়র, সিনিয়র এবং ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয় গণিত, ফিজিক্স, জেনারেল সাইন্স, একাউন্টিং, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োলজি, এস্ট্রোনমি, আইটি অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন। উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতায় ঢাকার নামকরা ৪০টি স্কুল ও কলেজ অংশগ্রহণ করছে।