শিরোনাম :
‘আম্মা’ জয়ললিতা আর নেই : তামিলনাড়ু
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘আম্মা’ খ্যাত জনপ্রিয় নেত্রী জয়ললিতা আর নেই। চেন্নাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জীবনাবাসন ঘটে। সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানায়।
এর আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়ে ছিলো তীব্র ধোঁয়াশা৷ স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয় যে, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আম্মা৷ যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিলো, লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে৷ তাঁর অবস্থা ছিল সংকটজনক৷ সোমবার সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় জমতে থাকে হাসপাতাল চত্বরে৷ উদ্বেগ ছিল রাজ্য জুড়েই৷ দুপুরেও জানা যায়, তাঁর অবস্থা আরও সংকটজনক৷ এরপর থেকেই ছড়াতে থাকে গুজব৷ এদিকে দলীয় পতাকাও জয়ললিতার সম্মানে অর্ধনমিত রাখা হয়৷ এতেই গুজব আরও বাড়ে৷
স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়ে দেয়, চলে গিয়েছেন আম্মা৷ এরপরই হাসপাতাল চত্বরে জমায়েত হন রাজ্যবাসী৷ সারা দেশে প্রচারিত হয়ে যায় সেই খবর৷ যদিও অ্যাপোলোর তরফে চিকিৎসক সঙ্গীতা রেড্ডি এই খবর অস্বীকার করেছিলেন৷
ডিহাইড্রেশন, জ্বর ও ফুসফুসের সংক্রমন নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন জয়ললিতা। একটানা চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন ভারতীয় রাজনীতির ‘আম্মা’। রবিবারই দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নেত্রী পুরোপুরি সেরে উঠছেন, খুব শিগগিরি তারি বাড়ি ফিরবেন। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এদিন সন্ধ্যায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয় জয়ললিতার। নেত্রীর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতে হাজার হাজার এআইএডিএমকে কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমতে থাকে হাসপাতাল চত্ত্বরে। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেন তারা। প্রিয় নেত্রীর জন্য হাসপাতালের বাইরেই রাত কাটান তারা।
জয়ললিতার জন্ম ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ এবং মৃত্যুবরণ করেন ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। মৃত্যুর খবর শুনে শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক টুইটের মাধ্যমে এই শোক জানান।
আরবি/এসএস/ ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬