শিরোনাম :
চারুকলায় বৈশাখের প্রস্ততি শুরু
সপ্তাহ ঘুরলেই বাংলা নতুন বছর, পহেলা বৈশাখ উদযাপনে এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে মাতবে গোটা দেশ। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নব উল্লাসে মেতে এগিয়ে যাবে বাঙালি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া এ উৎসব উদযাপনের মূল কেন্দ্রবিন্দু থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভযাত্রা। যার প্রস্তুতির জন্য এখন ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মুখোশসহ বিভিন্ন ধরনের লোকজ মোটিভ তৈরি করা হলেও শোভাযাত্রায় এবার প্রাধান্য থাকছে পাখির প্রতিকৃতির- এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে এবার শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থের ৪৮ নম্বর কবিতার ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ চরণটি। প্রথা অনুযায়ী অনুষদের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ২১তম ব্যাচ উৎসবের প্রস্তুতির দায়িত্বে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জয়নুল গ্যালারির দক্ষিণ পাশে অনুষদ প্রাঙ্গণে চলছে শোভাযাত্রার প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। সেখানে বাঘ, ঘোড়া, উল্টা কলসি, পাখির শিল্পকর্ম প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে নির্দেশনা দিচ্ছেন চারুকলার শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের নকশা দেখে নিখুঁতভাবে নির্মাণ কাজ করছেন।
মূল দায়িত্বে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা থাকলেও অনুষদের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীসহ সাবেকদের অনেকে কাজ করছেন। এছাড়া অনেকে মুখোশ তৈরি করছেন, আবার রং দিয়ে সৌন্দর্য বাড়াচ্ছেন অনেকে। কেউবা ছোট ছোট পাখি তৈরি করছেন|
মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনে দরকার বড় পরিমাণের অর্থ। যার একটি আসে শিল্পকর্ম বিক্রির মধ্যদিয়ে। অনুষদের জয়নুল গ্যালারির ভেতরে বাইরে চলছে শিল্পকর্ম বিক্রি। ১৯ মার্চ এসব তৈরির অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী। শিল্পকর্মের মধ্যে চাহিদা বেশি রয়েছে মুখোশের।
এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দামের মুখোশ রয়েছে। তবে বড় রাজা-রানির মুখোশের দাম আরও অনেক বেশি। এছাড়া বড় সরাচিত্র ৫০০-১০০০ টাকা, ছোট সরাচিত্র ২০০-৫০০ টাকা, বাঘ ও পেঁচা এক-দেড় হাজার টাকা, পাখির ট্যাপা পুতুল ১০০-৩০০ টাকা, পেপার ম্যাশ ৫-১০ হাজার টাকা, ফুল ১০০-২০০ টাকা, চিত্রকর্ম ১৫০০-৫০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন।