শিরোনাম :
চট্টগ্রামে যীশুর যাতনাভোগ, ক্রুশীয় মৃত্যু ও পুনরুত্থান স্মরণে ঐতিহ্যবাহী পদাবলী কীর্তন ‘রামুর পালা’ অনুষ্ঠিত
গভীর ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতাময় পরিবেশে চট্টগ্রাম আর্চ ডায়োসিসের জপমালা রাণী ধর্মপল্লীতে (ক্যাথিড্রাল) ১২এপ্রিল প্রভুযীশুর যাতনাভোগ, মৃত্যু ও গৌরবময় পুনরুত্থানের মহিমাধ্যানে ঐতিহ্যবাহী পদাবলী কীর্তন ‘রামুর পালা’ অনুষ্ঠিত হয়।
পাদ্রীশিবপুর খ্রীষ্টিয় সমাজ সংঘের আয়োজন এবং শ্রদ্ধেয় ফাদার লেনার্ড রিবেরু এর পৃষ্টপোষকতায় সেন্ট প্লাসিড’স স্কুল এন্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যে ৭টায় এ কীর্তন পালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান কীর্তনীয়া ছিলেন বরিশালের পাদ্রীশিবপুর গ্রামের মিঃ আলবারিজ গোমেজ। তাঁর সাথে সহযোগিতা করেন প্রায় ২০জন।
রামুর পালা মূলতঃ বরিশালের পাদ্রীশিবপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পালাগান। পবিত্র বাইবেল অনুসারে প্রভুযীশুর যাতনাভোগ, মৃত্যু ও গৌরবময় পুনরুত্থানের কাহিনী নিয়ে এই কীর্তন পালাটি রচনা ও সুরারোপ করেন স্বর্গীয় কালিপ্রসন্ন চক্রবর্তী। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও মানবজাতিকে ভালবেসে প্রভুযীশুর আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ পালাগান রচনা করেন। পাদ্রীশিবপুরের ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টভক্তগণ পালাগানটি তাঁদের অন্তরাত্মায় গেঁথে নেন গভীরভাবে। পরবর্তীতে এ গ্রামের স্বর্গীয় রামুয়েল গোমজ নামের একজন ধার্মিক কীর্তনীয়া এটি প্রথম মঞ্চস্থ করেন বলে এটি রামুর পালা বলে পরিচিতি পায়। পালাগানটি প্রতিবছর ঢাকাতেও মঞ্চস্থ হয়।
চট্টগ্রামে পালাগানটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। বিশেষভাবে চট্টগ্রামে বসবাসকারী পাদ্রীশিবপুরবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়।
পালাগান শুনতে আসা রাফায়েল গোমেজ বলেন, ‘রামুর পালা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। প্রভুযীশুর যাতনাভোগ, মৃত্যু ও গৌরবময় পুনরুত্থানের কাহিনী নিয়ে রচিত পালাগানটি প্রায়শ্চিত্তকালে আমাদের হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করে। নতুন প্রজন্মের জন্য পালাগানের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কারণ গানের মাধ্যমে তারা যীশুর আত্মত্যাগের মহিমা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে’।