ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সাম্প্রতিক বিবিসি’র ইমপ্যাক্ট নামক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ

সাম্প্রতিক বিবিসি’র ইমপ্যাক্ট নামক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ

0
452

অতি সাম্প্রতিক বিবিসি’র ইমপ্যাক্ট নামক একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারী কর্তৃক বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের সূত্র ধরে বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে বক্তব্য বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট পাওয়ার স্বার্থে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়টিকে ব্যবহার করে থাকে। এ বক্তব্যের সাথে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন কোনোভাবেই একমত নয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া এক যুক্তবিবৃতিতে বলেছেন, যে বক্তব্য উল্লেখিত অনুষ্ঠানে রাখা হয়েছে এবং প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক এবং সত্য নয়। বাংলাদেশের বর্তমান বস্তবতার সাথে তার কোনো মিল নেই। বর্তমান সরকার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের খ্রিষ্টানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপত্তার মধ্যেই রয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় অনিরাপদ বা নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা আমাদের কাছে মনে হয় না।

কিছু কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গী তৎপরতা সম্প্রতিককালে এখানে সংঘটিত হয়েছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই। কিন্তু সরকারের শূণ্যসহনশীল নীতির কারণে তা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। খ্রিষ্টান ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখানে সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহবস্থানের মধ্যেই বসবাস করছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, এমনকি সাধারণভাবেও সরকারের পক্ষ থেকে এ দেশের খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের এই আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে এমন কোনো বক্তব্য কোনো পক্ষেরই দেয়া উচিত নয় বলে নেতৃবৃন্দ তাঁদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক অতীতে ঘনিষ্ঠ ছিল, বর্তমানে তা আরো জোরদার হয়েছে। আমরা মনে করি বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় উভয় দেশের সরকার ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।