শিরোনাম :
সোনামণিরা যেন সঞ্চয় মনোভাবী হয়: বি-সেভার্স ও স্মার্ট সেভার্স ডে ২০১৯
ঢাকা ক্রেডিট কর্তৃক পালন করা হলো বি-সেভার্স ও স্মার্ট সেভার্স ডে ২০১৯।
২২ জুন বিকাল সাড়ে ৪টায় ফার্মগেট বটমলী হোমস্ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই বি-সেভার্স ও স্মার্ট সেভার্স ডে-এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, তেজগাঁয়ের বটমলী হোমস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিস্টার সীমা কোড়াইয়া এসএমআরএ, ডিরেক্টর উইলসন রিবেরু, পাপিয়া রিবেরু, ক্রেডিট কমিটির সদস্য অন্তর মানখিন এবং সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য স্টেলা হাজরাসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ বলেন, ‘খ্রিষ্টান সমাজের কোনো নতুন শিশুর জন্মের বিষয় আমাদের জানালে সাথে সাথে তাদের জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে বি-সেভার্সে হিসেব খুলে দেই। একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই আমরা সঞ্চয়ের জন্য উৎসাহিত করি। বি-সেভার্স থেকে স্মার্ট সেভার্স, এরপর সদস্য পদ, উচ্চশিক্ষা সাপোর্টসহ মৃত্যু পর্যন্ত ঢাকা ক্রেডিট সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের জন্য সঞ্চয় করুন। যেন পরবর্তী সময়ে তাদের কোনো কিছুতেই সমস্যা না হয়। আমরা প্রার্থনা করি, আজকের প্রতিটি শিশু যেন আগামীতে সুন্দর ও আদর্শ নাগরিক হয়ে উঠতে পারে।’
অন্যান্য বিশেষ অতিথিরা বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো, আমাদের সোনামণিরা যেন সঞ্চয় মনোভাবী হয়। আমরা এমনভাবে শিশুদের গড়ে তুলতে চাই, তারা যেন নিজেদের টাকায়ই পরবর্তীতে পড়াশোনা করতে পারে।’
পিতামাতাদের উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, ‘আপনারা শিশুদের পড়াশোনায় চাপ সৃষ্টি করবেন না, তারা সঠিকভাবে শিক্ষা পাচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি রাখা উচিত।’ পরামর্শ দিয়ে তাঁরা বলেন, শিশুদের চাপ প্রয়োগ না করে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যদি সূর্যের মতো শাণিত হতে চাই, তাহলে সূর্যের মতো আমাদের জ্বলতে হবে।
অনুভূতি শেয়ার করতে গিয়ে স্মার্ট সেভার্স হিসাবধারী ম্যাক ডেরিক কস্তা ডিসিনিউজকে বলে, ‘আজ আমার খুব ভাল লাগছে ঢাকা ক্রেডিট এই সম্মাননা দেওয়ার জন্য।’ বড় হয়ে ম্যাক ডাক্তার হতে চায়। ম্যাক সেন্ট যোসেফস্ স্কুল থেকে এবার পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সম্মাননা দেওয়ায় ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ জানায় সম্মাননাপ্রাপ্ত লরিয়েল ভার্জিনিয়া রোজারিও। খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের জন্য আরো কিছু প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে বৃত্তি প্রদানের অনুরোধ জানায় সে। এ ছাড়াও কালচারাল একাডেমির মাধ্যমে বার্ষিক কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজনেরও দাবি করে সে।
দ্যুতি জর্জিনা রোজারিও ঢাকা ক্রেডিট থেকে সম্মাননা পেয়ে অনেক আনন্দিত। দ্যুতি বলে, ‘আমি কখনো কারো কাছে কোনো আর্থিক উপহার পেলে তা আমার মা আমার বি-সেভার্স একাউন্টে সঞ্চয় করে রাখে। সে ঢাকা ক্রেডিটের এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। দ্যুতি তেজগাঁও কাথলিক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ ৩১ জন শিক্ষার্থীকে পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ায় (তাদের হাতে) সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের কর্মী সোহেল রোজারিও। প্রারম্ভিক প্রার্থনা করেন ডিরেক্টর পাপিয়া রিবেরু ও শেষ প্রাথর্না করেন সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য স্টেলা হাজরা।
শেষে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এডুকেশন সেন্টার, ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমির শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে শিশু ও অভিভাবকসহ প্রায় পাঁচ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।