শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশই হলো শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ।
গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন আয়োজিত ঢাকা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুন। গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ঢাকা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি হেইন ও বিশ্ব ব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিওভা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বান কি মুন বলেন, ‘গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন কেন আজ ঢাকায় এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে, এটা আমাদের সবার মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে আমি বলবো, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। সে কারণেই আমরা আজ এখানে।’
বান কি মুন বলেন, আইপিসিসির রিপোর্ট অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার ফলে সমুদ্র লেভেলের পানির উচ্চতা থেকে এক মিটার বাড়ার ফলে বিশ্বের ১৭ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে। সে কারণেই অভিযোজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় অ্যাডাপটেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা বলেছেন। আমরা তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলেও মন্তব্য করেন বান কি মুন।
জাতিসংঘের সাবেক এই মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশই প্রথম দেশ ২০১৯ সালে অ্যাডাপটেশন নিয়ে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা, সাইক্লোন সেন্টার প্রতিষ্ঠা, জলবায়ুখাতে গবেষণা ইত্যাদিতে জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।