শিরোনাম :
গত ১০ বছরে বাংলাদেশে এসিড সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে:এএসএফ
ডিসি নিউজ, ঢাকা প্রতিনিধি:
‘গত ১০ বছরে বাংলাদেশে এসিড সহিংসতা হ্রাস পেয়েছ’ বলে তথ্য দিয়ে এসিড সারভাইরস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছেই বলেই সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ সিরডাপ মিলনায়তনে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে চলতি ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত ‘লিঙ্গ’ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক চর্চা এবং সম্ভাব্য কৌশলসমূহ সম্পর্কে গবেষণার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার লক্ষ্যেই জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানবাধিকার প্রোগ্রামের সহায়তায় এএসএফের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে এসিড সহিংসতা হ্রাসের পিছনে কি কি মূল বিষয় কাজ করেছে এবং এর বর্তমান অবস্থা অনুধাবন করা।
গবেষকদল বাংলাদেশে এসিড ও অন্যান্য সহিংসতার বর্তমান প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন। তারা গত ১০ বছরের এসিডসহ অন্যান্য সহিংসতা যেমন ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ও অন্যান্য দগ্ধ সহিংসতার ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে এসিড সহিংসতা হ্রাস পেলেও নারী ও শিশুর প্রতি অন্যান্য জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা বেড়েছে।
গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে, এসিড সহিংসতার মতো নৃশংসতম সহিংসতা যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে তেমনি সেসকল পদ্ধতি অনুসরণ করে নারী ও শিশুর প্রতি অন্যান্য জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতাও কমানো সম্ভব হবে। এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও শিশু অধিকার সংক্রান্ত সংসদীয় কোকাসের কো-চেয়ারম্যান আরোমা দত্ত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আইনুল কবীর ও ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা শর্মিলা রসুল। এ সভায় গবেষণার সারবস্তু উপস্থাপন করেন যৌথভাবে প্রধান গবেষক ফজিলা বানু লিলি, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ।