ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

0
522
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

ডিসি নিউজ:

ডোনাল্ট ট্রাম্পের সাথে প্রিয়া সাহার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে বিবৃতি প্রদান করেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত।

আজ সকল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘১৬-১৮ জুলাই, ২০১৯ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটন ডিসিতে Second Ministerial to Advance Religious  Freedom সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ থেকে অংশগ্রহণকারী তিন জন হলেন অশোক বড়ুয়া, নির্মল রোজারিও ও নির্মল চ্যাটার্জী। প্রিয়া সাহা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগনিক সম্পাদক পরিচয় প্রদান করে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান Disappeard হয়ে গেছেন  বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু আসলে প্রিয়া সাহা ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগনিক সম্পাদক এটি সত্য।’

তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম হাউজের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারষ সম্পাদক এবং সভাপতি রানা দাসগুপ্ত। প্রকৃত পক্ষে রানা দাসগুপ্ত হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক এবং তিন জন  সভাপতি হচ্ছেন  সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) জেনারেল সি আর দত্ত বীর উত্তম, হিউবার্ট গমেজ ও ঊষাতন তালুকদার।’

রানা দাসগুপ্ত সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় ১৯৪৭ সালেম সংখ্যাঘু সম্প্রদায় ছিল ২৯.৭%, ১৯৫১ সালে ২৩.১%, ১৯৬১ সালে ১৯.৬%। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান  ব্যুরো থেকে জানা যায় ১৯৭৪ সালে সংখ্যালঘু ১৪.৬%, ১৯৮১ সালে ১৩.৩%, ১৯৯১ সালে ১১.৭%, ২০০১ সালে ১০.৩% এবং ২০১১ সালে ৯,৭% যার মধ্যে হিন্দু জনগোষ্ঠী ৮.৪%। কিন্তু বিগত এক দশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়ে ৮.৪ থেকে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭%। ডা. আবুল বারাকাতের গবেষণা গ্রন্থে দেখিয়েছেন ১৯৬৪-২০১৩ এই পাঁচ দশকে ১ কোটি ১৩ লক্ষ হিন্দু জনগোষ্ঠী হারিয়ে গেছে।

সকলকে উদ্দেশ্যে করে রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘প্রিয়া সাহার পৈতৃক বাড়ি চলতি বছরের মার্চ মাসে অগ্নি সংযোগে ধ্বংস হয়েছে এ কথা সত্য। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশিত প্রচারিত হয়েছিল। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্বাচনকালীন কোন নির্যাতন হয়নি তার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলাম সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলকে।

স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের গুম বা নিখোঁজ অর্থে বলে থাকেন প্রিয়া সাহা তবে তা অসত্য এবং আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।