শিরোনাম :
তেজগাঁও গির্জায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা
ডিসি নিউজ:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সকালে তেজগাঁও গির্জায় বিশেষ খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে প্রায় তিন শতাধিক খ্রিষ্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। খ্রিষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার কমল কোড়াইয়া।
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য যাঁরা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট শহীদ হয়ে ছিলেন তাঁদের আত্মার কল্যাণ কামনা করে খ্রিষ্টযাগে প্রার্থনা করা হয়।
ফাদার কমল কোড়াইয়া উপদেশ বাণীতে বলেন, ‘বিশ্বের অনেক নেতা নেত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের বুকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
আরো পড়ুন: খ্রিষ্টান মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ
খ্রিস্টযাগের পরে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি এবং সচিব নির্মল রোজারিও।
তিনি ডিসি নিউজকে বলেন, ‘আজ আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ যাঁরা তাঁর সাথে শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার কল্যাণে গির্জায় প্রার্থনা করেছি। জাতির জনক আমাদের চিন্তা, চেতনায়, মননে রয়েছেন। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তাঁর জন্য আমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছি।’
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকার সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা ডিসি নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের ৪০ হাজার সদস্যদের পক্ষে জাতীয় শোক দিবসে শোক প্রকাশ করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ যাঁরা সেদিন নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
খ্রিষ্টযাগে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি জেমস সুব্রত হাজরা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক পংকজ গিলবার্ট কস্তা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিউফিল রোজারিও, শিক্ষা সম্পাদক ডানিয়েল সিকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জন অরুনেশ বাড়ৈ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিখিল মানকিন, নির্বাহী সদস্য পিটার রতন কোড়াইয়া, ভিক্টর রে’, এসোসিয়েশন মোহাম্মদপুর শাখার সভাপতি আন্তন হালদার, মিরপুর শাখার সভাপতি যোসেফ স্বপন চৌধুরী, বনানী শাখার সভাপতি সেবাষ্টিন বাড়ৈসহ ব্রতধারি-ব্রতধারিণী ও বিপুল সংখ্যক খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন এতিমখানা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দুস্থদের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশনের আয়োজন করা হয়।