শিরোনাম :
আস্থার সমবায় বাজার
|| ডিসি নিউজ ||
সুলতানা রাজিয়া। তিনচারজন শিশু-কিশোর নিয়ে এসেছেন সমবায় বাজারে। তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনলেন। তিনি ডিসি নিউজকে জানাচ্ছিলেন তার সন্তুষ্টির কথা, ‘আমি সমবায় বাজারে নিয়মিত বাজার করি। এখানকার পণ্যের গুণগত মান ভাল। দামও কম। সুপারশপের কর্মীদের ব্যবহারও অত্যন্ত আন্তরিক।’
রাজিয়ার মতো বাজার করতে দেখা গেল তেজকুনিপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানকে। তিনি ডিসি নিউজকে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠান সুপার শপ সমবায় বাজার সম্পর্কে প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি এখানে মাসের বাজার করে থাকি। আগে অন্য দোকানে বাজার করতাম। সেসব দোকানে একটা পণ্য পাই তো আরেকটা পাই না; অন্য দোকানে যেতে হয়। কিন্তু সমবায় বাজারে যা যা দরকার সব জিনিসই পাই। তাই এখান থেকেই আমি বাজার করি। আমার আস্থা সমবায় বাজার।’
তিনি আরো বলেন, এখানে ক্রেডিট কার্ড দিয়েও বাজার করা যায়।
সুবর্ণ গমেজ (৩৫)। বাসা মোহাম্মদপুর। ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য। মাস শেষে বেতন পেয়ে সমবায় বাজারে এসেছেন বাজার করতে। তিনি ডিসি নিউজকে বলেন, ‘প্রতি মাসে মাসিক বাজার করতে হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার। সেটা আমি নিয়মিত সমবায় বাজার থেকেই করি। এক সাথে বেশি বাজার করলে আমাকে বাজার-সদাই বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে ভাল লাগে। এ ছাড়া ঢাকা ক্রেডিট তো নিজেদেরই প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে পণ্য কিনতেও ভাল লাগে।’
তিনি আরো জানান, ঢাকা ক্রেডিটের নিয়মিত সদস্য হওয়ায় প্রতি মাসে ৩,০০০-৫,০০০ টাকা হোম ডেলিভারি সুবিধা নেওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ দিন পর বিল প্রদানের সুবিধা পান।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সনের সেপ্টম্বর থেকে যাত্রা করা ঢাকা ক্রেডিটের সমবায় বাজার প্রকল্প সমবায় বাজারে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল, ডাল, তেল, লবণ, মসলা, ঘি, সাবান, শ্যাম্পু, টুথ পেস্ট, বিস্কুট, হরলিক্স, টয়লেট ক্লিনার, সব ধরনের ডিটারজেন্ট, গুড়া দুধ, হিমায়িত পণ্য, জুতা, শাড়ি, থ্রি-পিচ, শিশুদের পোশাকসহ যাবতীয় কসমেটিকসসহ আরো অনেক ব্যবহার্য দ্রব্য।
দুই হাজার টাকার পণ্য কিনলে ফ্রিতে হোম ডেলিভারি সুবিধা
সমবায় বাজারের ফ্লোর ইন-চার্জ কাকন গমেজ ডিসি নিউজকে বলেন, ‘যারা কমপক্ষে দুই হাজার টাকার পণ্য কিনেন, তাদের ২% তাৎক্ষণিক ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। এ ছাড়া যদি ক্রেতা চান, তবে তাদের পণ্য ফ্রিতে হোম ডেলিভারির সুবিধা দেওয়া হয়। এই সুবিধা শুধু মাত্র ঢাকা শহরের মধ্যে। আমরা ক্রেতাদের সর্বোৎকৃষ্ট মানের পণ্য সরবরাহ করে থাকি। দামেও অন্য দোকানের চেয়ে কম।’
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ দোকানের চেয়ে পণ্য ভেদে দুই থেকে ১৫ টাকা কমে ক্রেতাদের নিকট পণ্য বিক্রি করছে সমবায় বাজার। আলু ২২ টাকা কেজি, তীর সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৪৭০ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৫৮ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৯৮ টাকা, আটাশ চাল ৩৬ টাকা কেজি, পায়জাম চাল ৩৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্যান্য পণ্য বিক্রি হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে।
আইডি কার্ড দিয়ে ক্রয়ের সুবিধা
যারা ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য, তারা ঢাকা ক্রেডিট হতে দেওয়া ডিজিটাল আইডি কার্ড দিয়ে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন। তবে সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা থাকতে হবে। আইডি কার্ডটা এক ধরনের ক্রেডিট কার্ডের মতো কাজ করছে। যারা এই সুবিধা এখনো নেননি তাদের সেই সুবিধা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন কাকন গমেজ।