শিরোনাম :
প্রাণত্যাগ করলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আদিবাসী লেখক মংছেনচীং
নীলাপদ চাকমা ।। খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মানিক ডাক্তার পাড়ার নিবাসী একুশে পদকপ্রাপ্ত মংছেনচীং মংছিন রাখাইন আর নেই। আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাঙ্গামাটি জেলা সদরের তবলছড়ির মাঝের বস্তি এলাকায় বড় মেয়ের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন তিনি ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি একাধারে একুশে পদকপ্রাপ্ত(গবেষণা)সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
তিনি কক্সবাজার জেলায় রাখাইন পাড়ায় ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যুকালীন সময় তার বয়স ৫৮ বছর। ২০১৬ সালে সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। পার্বত্যাঞ্চলের একমাত্র একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাংক্ষি রেখে গেছেন। তার স্ত্রী শোভারাণী ত্রিপুরাও একাধারে শিক্ষিকা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বেগম রোকেয়া পুরস্কারপ্রাপ্ত হন।
মংছেনচীং রাখাইনের মৃত্যুতে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুন:
সমবায়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন ও বার্ষিক সাধারণ সভা বাতিলের আবেদন গ্লোরিয়া ঝর্ণার
কিশোর-কিশোরীদের খ্রিষ্টীয় জীবন-যাপনের আহ্বান বিশপ শরতের