শিরোনাম :
দুই দিনব্যাপী ক্রিসমাস মেলা শেষ হলো আজ
পৌষের বিকেল। হালকা শীত, সূর্যের আভা গাছের ফাঁক গলে উকি দিচ্ছে। তেজগাঁও চার্চ ধরে হলিক্রস কলেজ রোডে পা রাখতেই অসংখ্য মানুষের ভিড়। বটমলী হোম অর্ফানেজ টেকনিক্যাল মাঠ অভিমুখে মানুষের ঢল।
মুলফটকে ঢুকতেই বড়দিনের গান কানে বাজতে থাকে। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন বয়সী মানুষের আগাগোনা। সারিসারি অসংখ্য দোকান। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। চলছে দুই দিনব্যাপী ক্রিসমাস মেলা ও কীর্তন প্রতিযোগিতা।
দি মেট্রোপলিটন কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির যুব কমিটির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী মেলার শেষ দিন আজ। সন্ধায় কীর্তন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও র্যাফেল ড্র-এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী এ মেলার।
শেষ দিনে তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের পাল-পুরোহিত ফাদার কমল কোড়াইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কীর্তন প্রতিযোগিতায় আটটি দল অংশগ্রহণ করে। ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে যথাক্রমে পঞ্চাশ, ত্রিশ ও বিশ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়। অন্যান্য দলগুলোকেও সান্ত¦না পুরস্কার দেয়া হয়।
ফাদার কমল কোড়াইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, আয়োজন টা ভাল। আগমনকালে এই আয়োজনটাকে কিভাবে নিচ্ছি সেটাই মুখ্য। তবে জাগতিক আনন্দ-প্রস্তুতির পাশাপাশি আমাদের আধ্যাত্নিক প্রস্তুতিরও প্রয়োজন রয়েছে।
হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, হলিক্রস কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গমেজ সিএসসি, হাউজিং সোসাইটির উপদেষ্টামন্ডলী, ঢাকা ক্রেডিট ও হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, যুব কমিটির কার্যকরী পরিষদসহ দুই প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এই মেলায় ৬০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়।
দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির গৃহনির্মাণ প্রকল্প ছাড়াও খাবারের দোকান থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিকস পণ্য, হস্তশিল্প, শীতবস্ত্র, বিভিন্ন পোশাক, অলংকার, কসমেটিকস, বাচ্চাদের খেলনা, বড়দিনে গৃহসজ্জার নানা উপকরণ, বিভিন্ন বই, মাটির তৈরি জিনিস শোভা পেয়েছে এসব স্টলে।
অত্র সোসাইটির যুব কমিটির সদস্য ও বিশেষভাবে নারীদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে হাউজিং সোসাইটি এই মেলার আয়োজন করে।
প্রতিবছর এই ধরনের আয়োজন বড়দিনের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলেই বিশ্বাস আয়োজকদের।
এসএন/আরপি/২০ ডিসেম্বর, ২০১৬