ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ দেশ সেজেছে বড়দিন উৎসবে

দেশ সেজেছে বড়দিন উৎসবে

0
583

কাল বড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলস্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব। প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে যিশু খ্রিস্ট দীন বেশে এক গোয়াল ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ২৫ ডিসেম্বর সারাবিশ্বের খ্রিস্টান ভাই বোনেরা এই দিনে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন) উৎসব হিসেবে পালন করে থাকে।

বাংলাদেশের পেক্ষাপটেও খ্রিস্টান ভাইবোনেরা মেতেছে বড়দিন উৎসবে। সারা দেশের চার্চগুলো সেজেছে বর্ণিল আয়োজনে। সেজেছে খ্রিস্টান পাড়া এবং মহল্লাগুলো। প্রতিটা ঘরও রঙিণ আলো এবং সাজে ঝলমল করছে। চার্চ এবং বাসা বাড়ির উপর জ্বলছে খ্রিস্টের জন্মের পথ দেখানো উজ্জ্বল তারকা। ঘরে ঘরে নানান খাবার এবং পিঠা বানানোর ধুম চলছে। এলাকার ছেলেমেয়ে, বাচ্চা, বৃদ্ধরা কীর্তন গানে মাতিয়ে রেখেছে খ্রিস্টের জন্মের আনন্দে।

02বিভিন্ন বিভাগ এবং খ্রিস্টান অধ্যুষিত জেলাগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় বড়দিনে সাজে সেজেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বড়দিন উৎসবকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রশাসন নিরাপত্তার চাদরে নির্বিঘ্নে বড়দিন উৎসব পালনে কাজ করেছে যাচ্ছে।

বরিশালের খ্রিস্টান এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রশাসনিক পুলিশ নিরাপত্তা। ঘরে ঘরে শিশু-কিশোর, যুব এবং বৃদ্ধদের বড়দিনের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে যিশু খ্রিস্টের মাতা মা-মারিয়া এবং পিতা সাধু যোসেফ রাজার আদেশে বেৎলেহেম নগরে নাম লেখাতে যায়। নাজারেথ থেকে বেৎলেহেমের পথ অনেক দূরে বলে নগরে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। রাস্তার দূরত্বের কারণে মা-মারিয়া এবং যোসেফ নাজারেথে ফিরতে পারেনি। তাই রাত কাটানোর জন্য কোনো পান্থশালা (হোটেল) খুঁজে পেল না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে এক গেরস্তের বাড়ির গোয়াল ঘরে রাত কাটানোর জন্য ওঠে। মা-মারিয়া তখন পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভবতী ছিলেন। সেই রাতে মা-মারিয়ার ভীষণ গর্ভবেদনা ওঠে এবং সেই দীন গোশাল ঘরেই যিশু খ্রিস্টের জন্ম দেন। মা-মারিয়া শিশু যিশুকে একটি যাবপাত্রে শুয়ে রাখেন। খ্রিস্টের জন্মের সময় আকাশে এক বিশাল উজ্জ্বল তারা উদিত হয়। সেই তারা দেখে পন্ডিতেরা গণনা করে জানতে পারে, এক নবরাজার জন্ম হয়েছে, তাই তারা সেই তারা দেখে দেখে খ্রিস্টের চরণে এসে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করে। তেমনি মাঠে রাখেলা মেষ চড়ানোর সময় ঈশ্বরের এক দূত তাদের খ্রিস্টের জন্মের সংবাদ দেয়, তারাও সেই মতো গোশাল ঘরে এসে যাব পাত্রে শুয়ে রাখা নবরাজার চরণে প্রণতী জানায়।

01বড়দিন উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিটা গির্জায় ২৪ তারিখ মধ্য রাতে এবং ২৫ তারিখ সকালে খ্রিস্টবিশ্বাসীরা খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করে। এ দিনকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রীতিভোজের। সকলে প্রতিটি ঘরে ঘরে সবার সাথে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করে এবং মিষ্টিমুখ করে বড়দিনের আনন্দ সহভাগিতা করে।

আরবি/আরপি/২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬