শিরোনাম :
নজরদারির বিরুদ্ধে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নতুন গোপনীয়তার নীতিমালা (প্রাইভেসি পলিসি) অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দুটির ডেভেলপাররা নজরদারির উদ্দেশ্যে কোনো তথ্য ব্যবহার করতে পারবে না। সাধারণ ব্যবহারকারীদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণ কমাতে অনেক দিন ধরেই মানবাধিকারকর্মীরা এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি রাখছে পুলিশ-সংবাদমাধ্যমে এমন খবর গতবছর প্রকাশিত হয় । তারই প্রেক্ষিতে ফেসবুক ১৩ মার্চ , সোমবার নতুন এ ঘোষণা দেয় ।
নাগরিক স্বাধীনতা দলগুলোর জন্য ফেসবুকের এ ঘোষণা বিজয়ই বলতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শাসনামলে নজরদারির এই বিষয়টি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা।
নজরদারির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে সেন্টার ফর মিডিয়া জাস্টিস। সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক মালকিয়া সিরিল বলেন, এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ যে ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় শক্ত অবস্থান নিয়েছে। অন্যথায় সেগুলো ব্যবহার করেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হতো।
দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন গত বছর কিছু সরকারি নথি পেয়েছিল। সেখান থেকে জানা যায়, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার ‘জিওফিডিয়া’ নামের এক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটি নজরদারিতে পুলিশকে সাহায্য করে। এরপরে জিওফিডিয়ার অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।
মালকিয়া সাইরিল আরও বলেন, আমরা আশা করছি, ফেসবুক অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য ভাগাভাগি থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করবে|
সোমবার এক ঘোষণায় ফেসবুক জানিয়েছে, আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের নীতিমালা আরও সুস্পষ্ট করা। কয়েক মাস ধরে আমরা ডেভেলপারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি, যারা নজরদারির জন্য সফটওয়্যার বানিয়েছে|
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসএস/আরপি/১৫ মার্চ, ২০১৭