শিরোনাম :
শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য আন্তঃধর্মীয় ঐক্য বিষয়ক আলোচনা সভা (ভিডিও)
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য আন্তঃধর্মীয় ঐক্য বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গুলশানের লেকশোর হোটেলে।
৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন। এতে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ২৫০ জন নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি, এমপির সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্মল রোজারিও, ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ, চার্চ অব বাংলাদেশের বরিশাল ডায়োসিসের বিশপ সৌরভ ফলিয়া, সিস্টার রেবা ভেরুনিকা কস্তা আরএনডিএম, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস বহ্মচারী, বাংলাদেশ বুডিষ্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, ড. আতাউর রহমান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বাহাউদ্দিন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, হলিক্রস কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা গমেজ সিএসসি, খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার আগষ্টিন বুলবুল রিবেরু, ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া, ফাদার জর্জ কমল রোজারিও সিএসসি, ফাদার আলবার্ট টমাস রোজারিও, ফাদার প্যাট্রিক শিমন গমেজ, ফাদার মিল্টন ডেনিস কোড়াইয়া, সিস্টার সাগরিকা গমেজ সিএসসি, সিস্টার মলি কস্তা সিএসসি, সিস্টার কার্মেল রিবেরু আরএনডিএম, সিস্টার রুমা কস্তা আরএনডিএম, সিস্টার মেরী মিতালি এসএমআরএ, সিস্টার মেরি আন্না মারিয়া এসএমআরএ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক থিওফিল রোজারিও, সাংগঠনিক সম্পাদক নিপুন সাংমা, বিসিএ ব্রাক্ষণবাড়িয়া শাখার সেক্রেটারি মলয় নাথ, লক্ষ্মীবাজর শাখার সেক্রেটারি ভিক্টর রে, এসোসিয়েশনের সদস্য মাইকেল বাড়ৈ, রোজ মেরী জয়ধর, অ্যাডভোকেট শিপ্রা দাস, সুচিত্রা বেহেরা, পল্লব সরকার, জুয়েল হাসদা, জন মন্ডল ও ডিউক মালাকার।
আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন ধর্মে নেতৃবৃন্দ। এই সময় তারা বলেন, এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে। কিন্তু দেশে অল্প কিছু মানুষ যারা সাম্প্রদায়ি শক্তি প্রদর্শন করে দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সব ধর্মের মানুষ এক সাথে থাকলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। এই জন্য বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ যখন নিজ নিজ ধর্মের বিশ্বাসীদের মধ্যে ধর্মালোচনা করে তখন তারা যেন অন্য ধর্ম নিয়ে কোনো অসম্মানজনক কথা না বলা হয়। শুধু আন্তঃধর্মীয় সংলাপের সময় সম্প্রীতির কথা বলে অন্য সময় অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে কোনো দিন সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। তারা ধর্মের প্রশংসা না করে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করার আহ্বান জানান। নিজের ধর্ম শ্রেষ্ঠ, এই কথা না বলে মানব ধর্ম শ্রেষ্ঠ এই কথা প্রচার করা উচিত বলে মনে করেন।
এছাড়া তরুণদের ধর্মীয় নেতা বানানোর সময় অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের শ্রদ্ধা করার ও ভালোবাসা শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন।