শিরোনাম :
২০২১ সালের মধ্যে জনগণ ৯০ শতাংশ সেবা অনলাইনে পাবে: জুনাইদ আহমেদ পলক
আট কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্সের পরিধি বিস্তৃত করে ২০২১ সালের মধ্যে নাগরিক সেবার ৯০ শতাংশ অনলাইনে ‘সহজলভ্য’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে ই-গভর্ননেন্স কনফারেন্সের ‘হাউ টু ম্যানেজ ডিজিটাল সিটিজেন সেন্ট্রিক ই-গভর্নেন্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তার এ প্রতিশ্রুতি আসে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্সটি কালজুলেইদ ও সেন্ট লুসিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালেন চেস্টনেট মঙ্গলবার এ কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন পলক।
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে, কম খরচে সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং জনগণকে যাতে বারবার সরকারি অফিসে ধর্ণা না দিতে হয়, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার ই-গভর্নেন্স পরিকল্পনা সাজিয়েছে।
ই-গভর্নেন্সের পরিধি বিস্তৃত করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নাগরিক সেবার ৯০ শতাংশ অনলাইনে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
“সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জনগণের জন্য আলাদা আলাদা অনলাইন সেবা চালু করেছিল। প্রাথমিকভাবে সেসব সেবায় সমন্বয় ছিল না বললেই চলে। সেবা প্রদানে সমন্বয় আনতে পরে আমরা ডিজিটাল আইডেনটিটি, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারঅপারেবল ফ্রেমওয়ার্ক- এই তিন ক্ষেত্রে কাজ করছি, অগ্রগতি পেয়েছি।”
ডিজিটাল পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে জনগণকে দ্রুত সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সরকার কীভাবে ই-গভর্নেন্স নিশ্চিত করছে- সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “আমরা দেশের তিন ধরনের জনগণকে টার্গেট করেই ই-গভ সেবা বিস্তৃত করছি। আমাদের এখন টার্গেট হচ্ছে- যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না এবং ব্যবহার করতেও ইচ্ছুক নয়- তারা। এদের ইন্টারনেট সেবায় নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।”
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সারা দেশে ৫ সহস্রাধিক ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে; ইনফো সরকার প্রকল্পের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিস্তৃতি করছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্সটি কালজুলেইদ বলেন, বর্তমানে বিশ্বে চার বিলিয়নের বেশি মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত এবং মানুষ এখন দিনে গড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় অনলাইনে ব্যয় করে।
“সেজন্য জনগণকে আমরা ডিজিটাল সিটিজেন হিসেবে গণ্য করছি এবং অনলাইনেই তাদের সব ধরনের সরকারি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকরভাবে ই-গভর্নন্সে নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
আরবি.আরপি. ৩০ মে ২০১৮