ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ঈশ্বরের সেবক টি. এ. গাঙ্গুলীর মৃত্যু বার্ষিকী আজ

ঈশ্বরের সেবক টি. এ. গাঙ্গুলীর মৃত্যু বার্ষিকী আজ

0
797

ডিসিনিউজ || ঢাকা

ঈশ্বরের সেবক থিওটোনিয়াস অমল (টি. এ.) গাঙ্গুলীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর আর্চবিশপ থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ভাটিকান থেকে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাঁকে ‘ঈশ্বরের সেবক’ উপাধি প্রদান করেন। সাধু শ্রেণীভুক্তকরণের প্রথম ধাপ হলো ‘ঈশ্বরের সেবক’ পদ। এই পদে তারাই সম্মানিত হন যারা সেবা, ভালবাসা, ক্ষমা, সততা ও পবিত্র জীবন যাপন করে থাকেন।

ক্যাথলিক মন্ডলীতে কোনো ব্যক্তিকে সাধু শ্রেণিভুক্ত করার চারটি পক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো হলে: ঈশ্বরের সেবক, পূজনীয়, ধন্য এবং সাধু।  ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম বঙালি সাধু শ্রেণিভুক্তকরণের প্রথম ধাপ ‘ঈশ্বরের সেবক’ পদে ভূষিত হয়েছেন আর্চবিশপ থিওটোনিয়াস অমল গাঙ্গুলী। এখন তার পরবর্তী ধাপ হলো ‘পূজনীয়’।

অনিরাময়যোগ্য ব্যধি যেমন ক্যান্সার, কিডনী ফেইলোর হলে, আর্চবিশপ টি. এ. গাঙ্গুলীর মধ্য দিয়ে প্রার্থনা করলে কেউ সুস্থ হলে তা স্থানীয় ফাদারের মধ্য দিয়ে আর্চবিশপ টি এ. গাঙ্গুলী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বা ধন্য শ্রেণিভুক্তকরণ কমিটিতে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে। তা পরে ভাটিকানে প্রমাণ হিসাবে সেই নথি প্রেরণ করা হবে। এভাবে তাঁকে সাধু ধন্য শ্রেণিভুক্তকরণ পক্রিয়া দ্রুত হবে।

আর্চবিশপ টি এ গাঙ্গুলীর জন্ম নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামে ১৯২০ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর পিতা কমল গমেজ এবং মাতা কমলা গমেজ। ছোট বেলায় তাঁকে ডাকা হতো ‘থেটন’ নামে।

১৯৩০ সনে তাঁর পিতা কমল গমেজ যখন কোলকাতায় চাকরি করতেন তখন তাঁর গাঙ্গুলী পদবীটা পছন্দ হয়। তখন তিনি তাঁর পরিবারের সকলের পদবী গমেজ থেকে পরিবর্তন করে গাঙ্গুলী রাখেন।

১৯৪৬ সনের ৬ জুন মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি ভারতের রাঁচীতে সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালে পুরোহিত হন। তিনি ছিলেন সুনাম ধন্য নটর ডেম কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যক্ষ। ১৯৬০ সনের ৭ অক্টোবর তিনি ঢাকার সহকারী বিশপ হিসেবে অভিষিক্ত হন।  ভাটিকান তাঁকে ১৯৬৫ সনের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী আর্চবিশপ হিসেবে নিয়োগ দেয়।

১৯৭২ সনের ২ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করেন আর্চবিশপ টি এ গাঙ্গুলী। এই সময় তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের ত্রাণ কার্যের জন্য বঙ্গুবন্ধুর হাতে দুই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। একই সাথে এদেশের ওপর ঈশ্বরের আশীর্বাদের প্রতীকস্বরূপে একটি স্বর্ণের ক্রুশ ও তাঁর অভিষেকের সোনার চেইন বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দেন।