শিরোনাম :
আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ! খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের পদচারণায় পরিপূর্ণ বাংলার মাটি।
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল পোপ ফ্রান্সিসের সান্নিধ্য লাভের জন্য। পোপীয় সফরের বিভিন্ন ভ্যানুতে হাজার হাজার মানুষ উন্মুখ হয়ে ছিল তাকে দেখার এবং একটু স্পর্শ করার।
ঢাকা ক্রেডিট এবং এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এলায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ’স-এর প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বাংলাদেশস্থ ভাতিকান দূতাবাসে পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রেসিডেন্টের সাথে ছিলেন তার সহধর্মীনি মার্সিয়া মিলি গমেজ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে তিনি ভাতিকান দূতাবাসে এ সাক্ষাৎ করেন।
এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট গমেজ পোপীয় সফরের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রেসিডেন্ট গমেজের সাথে কথা হয় ডিসিনিউজের। এ সময় তিনি তুলে ধরেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা।
পোপীয় সফরের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গমেজ বলেন, ‘এই সংকটময় মুহুর্তে পোপে বাংলাদেশ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সারা বিশ্বে অস্থিরতা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মুহুর্তে পোপের বাংলাদেশ সফর একটি গুরুত্বের বিষয়। বিভিন্ন সংলাপের অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা পোপ ফ্রান্সিসের শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বান দেখেছি। এ ছাড়াও কাকরাইলে ১৮ জন রোহিঙ্গা সদস্যদের সাথে পোপের সাক্ষাৎ ন্যায্যতা এবং শান্তি প্রকাশ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা হাজার বছর ধরে বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাস করছি। বাংলাদেশ খ্রিষ্টমন্ডলী এদেশে যে কাজ করে যাচ্ছে, পোপের সফর তার একটি স্বীকৃতি।’
পোপের মিয়ানমার সফরে রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার না করায় যে অযাচিত কথা বলা হচ্ছে, সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গমেজ বলেন, ‘আমরা অনেক পূর্বেই দেখেছি, পোপ ফ্রান্সিস প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ে কথা বলেছেন। পোপ বলেছেন ‘রোহিঙ্গা মুসলিমরা আমাদের ভাইবোন।’ এ ছাড়াও কাকরাইলের আর্চবিশপ হাউজের অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাৎ এবং রোহিঙ্গা সদস্যর প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করাই রোহিঙ্গা ইস্যুতে পোপের বক্তব্য স্পষ্ট হিসেবেই বোঝা যায়।
পোপের সাথে একান্ত সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি অনুভূতি শেয়ার করে বলেন, ‘এমন মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ খুব কমই আসে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ পোপের সাথে সাক্ষাৎ এবং স্পর্শ করতে পেরেছি। সর্বোপরি, তার একান্ত সান্নিধ্যে আসতে পারাটা একটি সৌভাগ্য।’
পোপীয় সফরের শান্তি ও সম্প্রীতির বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গমেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল মানুষ সহাবস্থানে বাস করে। পোপের সফর ‘শান্তি এবং সম্প্রীতি’র ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
পোপীয় সফরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের যে অংশগ্রহণ এবং সংলাপ তা পোপের স্লোগান ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’কে সামনে রেখে একটি সুন্দর সূচনা।
আরবি/এসজি/২ ডিসেম্বর, ২০১৭