শিরোনাম :
ঢাকা ছাড়লেন ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস
নটর ডেম কলেজে যুব সমাবেশে যুবাদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে গেলেন পোপ ফ্রান্সিস!
শনিবার বেলা ৩টা ২০ মিনিটে নটরডেম কলেজে যুবাদের সাথে মিলিত হন পোপ ফ্রান্সিস। এর পরই পোপ ফ্রান্সিস ঢাকা ত্যাগ করেন।
তিনদিনের ব্যস্ত সফর শেষে, উড়োজাহাজ ‘অরুণ আলো’য় চড়ে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন, ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিকেল পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদায়ে তাকে বিদায় জানানো হয়। এর আগে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হলি রোজারিও চার্চে দেয়া ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায়, বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সফরের শেষদিন শনিবার তেজগাঁওয়ে মাদার তেরেসা ভবন পরিদর্শন করেন, সারাবিশ্বের ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সকাল ১০টায়, সেখানে আসলে তাকে স্বাগত জানায় হাজারো অনুসারী।
এরপর, হলি রোজারিও চার্চে খ্রিস্টান যাজক, ধর্মগুরু ও ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন পোপ। মানুষ-মানুষে বিভেদকে সমাজের খুঁত উল্লেখ করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, বাংলাদেশ হলো আন্তঃধর্ম এবং ঐকতানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
পোপ তার ভাষণে সবাইকে সমালোচনা ও পরনিন্দা থেকে দূরে থেকে আনন্দ নিয়ে বেঁচে থাকার মন্ত্র দেন। বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বিশ্বের জন্য নজির হিসেবে তুলে ধরেন, ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। পরে বিকেলে নটরডেম কলেজে যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন পোপ ফ্রান্সিস। সামাজিক বন্ধন মজবুত করতে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সাথে সরাসরি আলাপচারিতার ওপর জোর দেন তিনি।
কেবল প্রযুক্তি নিয়ে মেতে থাকলে হবে না। বড়দের কাছ থেকে নৈতিক শিক্ষা নিতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ নিয়েই তরুণদের সমাজ গঠনে মনোযোগী হতে হবে। তিনদিনের ব্যস্ত সফর শেষে, বিকেল পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ‘অরুণ আলো’য় চড়ে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন, ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
আরবি/এসজি/২ নভেম্বর, ২০১৭