ঢাকা ,
বার : রবিবার
তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

    ৪২ বছর ধরে বিহারী ক্যাম্পের বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়ে আলোর পথ দেখাচ্ছেন আরএনডিএম সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ

    0
    120

    ডিসিনিউজ।। ঢাকা

    “আমার বয়স যখন প্রায় ১৬ বছর তখন থেকেই আমি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ এবং পরিবারের আংশিক খরচ বহন করি যা আমার জন্য বড় আনন্দের ও তৃপ্তির,” বলেন মোহাম্মদ রাব্বি আলি, ২৫
    আলি, রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় নিজের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন বিহারী রিফিউজি ক্যাম্পে। ৮/১০ ফিটের একটি রুমে তাদের তিন প্রজন্মের বসবাস।

    তিনি ডিসিনিউজকে বলেন, আমি এখন মূলত বেঁচে থাকার জন্য টিউশনি পড়াচ্ছি, পাশাপাশি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে চাকুরীর জন্য পড়াশোনা করছি।

    গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ক্লাশ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    তার স্বপ্ন একদিন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে চাকুরী করবেন এবং পরিবার নিয়ে সুখে থাকবেন।
    “আমার এই স্বপ্নের বীজ বপন করে দিয়েছিল গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুলের সিস্টারগণ। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সাহস তারা জুগিয়েছে এবং আমি সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি,” বলেন আলি

    আলি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচলর অব বিজনেজ এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে একাউন্টিং-এ মেজর নিয়ে পাশ করে এখন মাস্টার্স অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    “আমি এখানে ইভিনিং চ্যারিটি স্কুল থেকে ক্লাশ ফোর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি, পরে এখান থেকে স্কলারশীপ নিয়ে সেন্ট যোসেফস হাইয়ার সেকেন্ডারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই।” আলি এই সফলতার জন্য আরএনডিএম সিস্টারদের পরিচালিত গ্রীণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।

    ডিসিনিউজের সাথে কথা বলার সময় আলি’র বাচন ভঙ্গি, কথা বলার সাথে সাথে চোখ ও শারিরীক ভঙ্গিতে কোনো ভাবেই আরো ১০টা বিহারী ছেলের সাথে তাকে মেলানো যাচ্ছিল না। স্মার্ট, মাঝে মাঝে ইংরেজি ভাষা ও পরিস্কার বাংলা ভাষায় কথা বলা, তার দেয়া তথ্য পরিস্কার বুঝা যাচ্ছিল তিনি উচ্চ শিক্ষিত।

    গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে

    বিহারীদের নিজস্ব ভাষা আছে। বাইরে পড়শোনা করতে গেলে তাদের কথায় যখন বাঙালীরা বুঝতে পারে তখন একটু সমস্যা হয় কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে তাদের ভাষায় কোনো সমস্যা হয় না, কারণ তখন উচ্চারণ পরিবর্তন হয়ে যায়।

    কিন্তু আলির মত শিক্ষিত মানুষ ক্যাম্পের মধ্যে ২ শতাংশেরও নীচে।

    “দরিদ্রতার কারণেই আমাদের মধ্যে শিক্ষার হার অনেক কম প্রায় দুই শতাংশের এর নিচে। আমাদের ক্যাম্পের প্রায় সবাই দৈনিক কাজ করে যেমন নরসুন্দর, সুইপার, গ্যারেজে কাজ করে ভাত খায়। যাদের বয়স ৩০ বছর তাদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষা ২% এর বেশি হবে না যারা উচ্চ শিক্ষায় যায়। কিন্তু প্রাইমারী শিক্ষা ৫০% মনুষই নিচ্ছে কিন্তু ঝরে পড়ছে।” বলেন আলি

    ১৯৪৭ সালে যখন দ্বিজাতির ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ হয় তখন, ভারতের বিহার রাজ্য থেকে উর্দুভাষী মুসলমানরা তৎকালীন পূর্ববাংলা এবং বর্তমানের বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করে।

    ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হয় তখন এই উর্দুভাষী মুসলমানরা পাকিস্তানিদের সমর্থন করেন এবং বাঙালীদের বিরুদ্ধে কাজ করে বলে উল্লেখ আছে বিভিন্ন লেখনীতে। সেই থেকে বাঙালীদের সাথে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে এই মানুষগুলো আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারেনি। তখন বাংলাদেশ সরকার এদের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসের অনুমোতি দেয়। কর্তমানে বাংলাদেশে ১১৬ টি ক্যাম্পে প্রায় ৪০০,০০০ বিহারী বসবাস করছে।

    ১৯৭২ সালে আরএনডিএম সিস্টারগণ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শুরু করেন স্বাধীনতার পরে প্রথম ইংরেজী মাধ্যমে এস.এফ.এক্স গ্রীণ হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যা বিহারী ক্যাম্প থেকে মাত্র কয়েক কদম দূরে।
    সিস্টারগণ দেখলেন আশেপাশে বিহারী সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করে, কিন্তু তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো নেই। তখন সিস্টারগণ চিন্তা কললো তাদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সেই চিন্তা থেকেই ১৯৮২ সালে গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুল কার্যক্রম শুরু করে যেখানে বিহারী ক্যাম্পের বাচ্চারা বিনা বেতনে পড়াশোনা করছে।

    সিস্টার জ্যাকলিন এল. গমেজ, গ্রীণ হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, প্রথমে বিহারী ক্যাম্পের বাচ্চাদের হাইজেনিং শেখানো, গোসল করানো অর্থাৎ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিয়েছিলেন তৎকালীন সিস্টারগণ। পরবর্তীতে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। এই ধারা এখানো আমরা অব্যাহত রেখেছি।

    সিস্টার জ্যাকলিন এল. গমেজ, গ্রীণ হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল

    সকালের শীফ্টে অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে যারা পড়াশোনা করে তারা শিক্ষিত এবং এলিট শ্রেনী থেকেই আসে। ফলে তাদের জানা শুনা বা মেধার জায়গাটা বিহারীদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকে।

    “বিহারী ক্যাম্পের বাচ্চারা তো শিক্ষায় পেছানো পরিবার থেকে এসেছে। ফলে তাদের যে বাড়িতে পড়াবে সেই জ্ঞান তাদের নেই। বিহারীরা ছোট বেলায় তাদের মাতৃভাষা শিখে এবং স্কুলে আসার পরে তারা বাংলাটা শিখে। ১ম শ্রেণী থেকে তারা ইংরেজি পড়ছে। তাহলে বিহারী বাচ্চারা মেধাবী কিন্তু পারিপার্শ্বিকতার কারণে, পরিবারের অশিক্ষা, দারিদ্রতা এবং পরিবেশের কারণে পিছিয়ে থাকে। সামাজিকভাবে তারা যেহেতু পিছিয়ে আছে সেটা শিক্ষা ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে,” বলেন সিস্টার গমেজ

    সিস্টার বলেন, শিক্ষা ছাড়া তো জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। আর আরেকটি বিষয় হলো তাদেরকে যদি শিক্ষিত করে না তোলা হয়, তাহলে এক সময় তারা নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়বে এবং এর প্রভাব পুরো সমাজে পড়বে। তাই আমাদের কাজ তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের শিক্ষিত করে তোলা। আমরা তাদের পড়াচ্ছি জাতিকে সুস্থ সমাজ উপহার দিতে। আর, বিহারীরা যেন ভবিষ্যতে মনে না করে যে তারা শিক্ষার সুযোগ পায় নি।

    বর্তমানে এই স্কুলটিতে ১৫০ জন বাচ্চা পড়াশোনা করছে যারা শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ছে। এখান থেকে শিশুরা পড়াশোনা করে বাইরের সরকারী স্কুলগুলোতে পড়ে এবং যারা এখানে ভালো করে তাদের স্কলারশীপের ব্যবস্থা করে দেন সিস্টাররা।

    স্কুল কর্তৃপক্ষে দেয়া তথ্যমতে, স্কুলটিতে বিহারী কমিউনিটির বাচ্চারা বিনা বেতনে পড়াশোান করে, তাদের জন্য স্কুল ড্রেস, খাতা-কলম সরবরাহ করা হয়। এমনটি বিকেলে স্কুল ছুটির পরে নাস্তার ব্যবস্থাও হরা হয়।
    যারা সিস্টারদের চ্যারিটেবল স্কুলে পড়াশোনা করে তাদের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ থাকে এবং প্রয়োজনানুসারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, এমনকি কেউ কারিগরি শিক্ষা নিতে চাইলে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়।

    “আমাদের নিয়মিত স্কুল আছে সেখানে যে আয় হয় সেখান থেকে ইভিনিং স্কুল পরিচালনায় খরচ করা হয়। এর বাইরেও অনেকে এই বাচ্চাদের সহায়তা করে এবং আমাদের নিয়মিত স্কুল থেকে যারা বের হয় তারাও এই বাচ্চাদের সহায়তা করে।” বলেন সিস্টার গমেজ

    তিনি বলেন, কেউ যদি এই বিহারী অবহেলিত বাচ্চাদের সহায়তা করতে চায় তাহলে আমরা সাদরে গ্রহণ করবো।
    এই স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে সিস্টাগণ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হলো বিহারী শিশুদের মাতৃভাষা উর্দু তাই প্রথমে শিশুদের বাংলায় পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। আবার, তাদের পিতা মাতা যেহেতু শিক্ষিত না তাই বাড়িতে তাদের পড়ার সেই সুযোগটা থাকে না। কোনো কোনো পিতা মাতা অল্প শিক্ষিত হলেও কাজের চাপে বাচ্চাদের পড়াতে পারে না। এছাড়াও, বাচ্চারা দেখা যায় ঠিক মত আসে না কারণ পরিবার সচেতন না।

    “আমরা এই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করি। যেমন, বাচ্চারা যদি পড়াশোনা ঠিক মত না করে তাহলে তাদের পেছনে শিক্ষকগণ একটু বেশি সময় দেন। আবার, আমরা অনেক সময় তাদের পিতা-মাতাকে ডেকে এনে সচেতন করার চেষ্টা করি।” ডিসিনিউজকে বলেন সিস্টার লুর্দ মেরী রোজারিও, ৭৮

    গ্রীণ হেরাল্ড ইভিনিং স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছুটির পরে টিফিন গ্রহণ করছেন

    ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে বর্তমানের অবসরে থাকলেও ২০১৭ সাল থেকে গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারীটি স্কুলের দায়িত্বে আছেন।

    সিস্টার বলেন, সরকার যেটুকু করার কথা করছে। কিন্তু ওদের ভাষাগত বিষয়টাকে আমলে নিয়ে এই কমিউনিটির ভেতরেই পড়ানোর ব্যবস্থা করতো তাহলে হয়তো দ্রæত এদের শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হতো।

    “এই বাচ্চাদের বাবারা কাজে চলে যায়, মায়েরা বাসা বাড়ীতে কাজে যায়। অনেক সময় বাচ্চারা বিকেলেও না খেয়ে স্কুলে আসে। তো, বুদ্ধিগত দিক থেকে কয়েকজন ভালো কিন্তু বেশিরভাগই তেমন মেধাবী না।” বলেন সিস্টার রোজারিও

    তিনি বলেন, আমি ক্যাম্প ভিজিট করেছি। তাদের থাকার জায়গা খুবই কম, তাদের পিতা মাতা অশিক্ষিত, খাবারের স্বল্পতা এই সমস্ত কারণে তারা মেধার দিক থেকে একটু র্দ্বুল হয়। তাহলে তাদের আদব মায়দা, মানবিকতা, হাইজিন এগুলোও শেখাতে হয়।

    রুকসার আক্তার লিলি, ১৮ গ্রিণ হেরাল্ড ইভিনিং চ্যারিটি স্কুল থেকে পাশ করে স্কলারশীপ নিয়ে এখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছে। তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় এবং তারা তিন বোনই এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
    “এখানকরা শিক্ষকগণ খুবই ভালো, শিক্ষকগণ ভালো পড়ান, যত্ম নেন, সিস্টারগণ নিয়মিত তদারকি করে আমাদের পড়াশাশোনার। তাছাড়া সবচাইতে বড় বিষয় হলো এখানে পড়াশোনা করতে আমাদের কোনো ধরণের টাকা লাগে না।” বলেন লিলি

    লিলির সাথে যারা প্রাইমারী স্কুলে পড়াশোনা করতেন তাদের মধ্যে অল্প কিছু হাতে গোনা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে আর বেশির ভাগই ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়াদের মধ্যে সবাই বিয়ে হয়েছে।

    লিলি বলছিলেন, আমাদের ক্যাম্পে অবিভাবকেরা শিক্ষিত না, ফলে শিক্ষার যে মর্ম সেটা তারা বুঝে না। আবার, পরিবার গরিব বলে খরচ চালাতে না পেরে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর, আমাদের বিহারী কমিউনিটিতে মেয়েদের কথার তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। অনেকের ধারণা, মেয়েদেরকে শাসনের মধ্যে রাখতে হবে, তাদের স্বাধীনতা দেয়া যাবে না, একটা বয়সে তাদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে।

    দরিদ্রতার কারণে লিলি নিজেও শেলাইয়ের কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ পরিচালনা করেন।
    যাইহউক, হাইকোর্টের এক আদেশে ২০০৮ সালে বিহারীরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেলেও প্রকৃত অর্থে নাগরিক অধিকার থেকে তারা এখন বঞ্চিত। বিহারীরা এখনো পাসপোর্ট পায় না, সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে তাদের পরিচয় একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    দেশের নাগরিক হিসেবে কর্মস্থানের সুযোগ, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা, শিক্ষর সুযোগ, বিদেশে কর্মস্থান ও উচ্চ শিক্ষার জন্য পাসপোর্ট করার অধিকারসহ নানা দাবি তাদের পক্ষ থেকে প্রায়শই উত্থাপন করা হয়।

    সরকারের পক্ষ থেকেও প্রায়শই তাদের এই দাবি পূরণের আশ্বস্ত করা হলেও এর বাস্তবায়ন প্রকৃত অর্থে দেখা যাচ্ছে না।

    আলি এবং লিলি দুজনই তাদের শিক্ষার পেছনের পুরো অবদান দিয়েছেন আরএনডিএম সিস্টারদের। তারা যেমন ফ্রিতে প্রাইমারী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন সিস্টারদের সহায়তায়, ঠিক তেমনই তারা একদিন তাদের সম্প্রদায়ের জন্য বিনামূলে কাজ করতে চান।

    “আমি মনে করি সরকার যদি আমাদের শিক্ষার দিকে একটু নজর দিত, উচ্চ শিক্ষায় আমাদের কোট দেয়া হতো, সরকারি চাকুরীতে সুযোগ দিত তাহলে আমার দেশের অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখতে পারতাম।” বলেন আলি