ঢাকা ,
বার : শনিবার
তারিখ : ১৮ মে ২০২৪
বাংলা : ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট আর্থসামাজিক উন্নয়নের মডেল ‘ঢাকা ক্রেডিট’

আর্থসামাজিক উন্নয়নের মডেল ‘ঢাকা ক্রেডিট’

0
535

রবীন ভাবুক || ডিসিনিউজ

প্রত্যেকটা যুগ বা ক্ষণ একেকটি রেঁনেসা বা বিপ্লব। এই বিল্পব যেমন এককভাবে আসে না বা ত্বরান্বিত হয় না। আবার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র না করেও সূচনা হয় না। প্রত্যেকটা বিল্পব শুরু হয় একটি সুনির্দিষ্ট দূরদর্শি চিন্তা চেতনার মাধ্যমে। ঢাকা ক্রেডিটও খ্রিষ্টান সমাজের জন্য একটি রেঁনেসা বা বিল্পবের শুভারম্ভ। দ্রারিদ্রতা, নির্যাতন, আর্থিক দৈনত্য সর্বোপরি জীবনমান পরিবর্তনের তীব্র আকাঙ্খা থেকে ঢাকা ক্রেডিটের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই ঢাকা ক্রেডিটের পথযাত্রা থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সমবায় আন্দোলন। যা বাংলাদেশের আর্থিক মুক্তির একটি প্রতিয়মান সত্য। প্রত্যেক বিল্পবের যেমন একজন অভিসংবাদিত নেতা এবং পটভূমি রচয়িতা থাকে, ঢাকা ক্রেডিটের উন্নয়ন বিল্পবেরও তেমনি নেতা ও পটভূমি রচয়িতা রয়েছে। ফাদার চার্লস জে. ইয়াং এবং আর্চবিশপ লরেন্স এল. গ্রেণার তেমনি হয়ে উঠেছেন সমবায় আন্দোলনের রেঁনেসার কৃতিপুরুষ।

ব্রিটিশ শাসনামলের অব্যবহিত পরেই এই ভূ-খন্ডে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তানি শাসন। এ সময় ঢাকা শহরের দরিদ্রদের আর্থিক দু:খ-দুর্দশার সীমা ছিল না। তাদের জরুরি আর্থিক প্রয়োজনে তৎকালীন কাবুলিওয়ালারা হতদরিদ্রদের বাধ্য করতো তাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে। ঋণের ওপর অসহায় মানুষদের গুণতে হতো চড়া সুদ।

কাবুলিওয়াদের উৎপীড়নের থাবা থেকে ঢাকা শহরের দরিদ্র খ্রিষ্টানদের মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন কাথলিক চার্চের নিবেদিত প্রাণ ফাদার চার্লস জে ইয়াং সিএসসি। সমকালীন ঢাকার আর্চবিশপ লরেন্স এল গ্রেনার সিএসসি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ফাদার ইয়াংকে কানাডায় পাঠিয়ে সমবায়ের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ঢাকায় একটি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠন করে খ্রিষ্টানদের সকল প্রকার উৎপীড়ন ও আর্থিক দৈন্যতা থেকে মুক্তি দেওয়া।

১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুলাই ফাদার চার্লস জে ইয়াংয়ের নেতৃত্বে পুরান ঢাকার লক্ষীবাজার চার্চে এতদউদ্দেশ্যে একটি সভা আহবান করা হয়। সভায় পঞ্চাশ জন খ্রিষ্টভক্তের অংশগ্রহণে মি. বার্নার্ড ম্যাকার্থীকে প্রেসিডেন্ট ও মি. জোনাস রোজারিওকে সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন গঠনের ক্ষেত্রে এটাই ছিল এ দেশে স্মরণকালের প্রথম ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠনের সভা। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই তাই ঘটনাটির খবর তৎকালীন খবরের কাগজে ছাপা হয়। দরিদ্র খ্রিষ্টভক্তদের আর্থিক সংকট দূরীকরণের স্বপ্ন দানা বাঁধতে থাকে হতদরিদ্র মানুষের মনে।

তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ ১৯৪০ সালের বেঙ্গল সোসাইটিস এক্ট-এর অধীন ‘দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড’ নামে নিবন্ধন লাভ করে।

১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে চার্চের হলরুম থেকে ক্রেডিট ইউনিয়ন অফিসটি স্থানান্তর করে ৬১/১ সুবাস বোস এভিনিউ ঠিকানায় সাপ্তাহিক প্রতিবেশী অফিসে আনা হয়। একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঠিকানাতেই আর্চবিশপ টি এ গাঙ্গুলী মেমোরিয়াল হল কমিউনিটি সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে অফিসটি তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। বৃদ্ধি পেতে থাকে এর সদস্য সংখ্যা। ১৯৮৯-এর ৩০ জুন এই ইউনিয়নের স্থায়ী অফিস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমানের প্রধান কার্যালয়ের এই স্থানটি ক্রয় করা হয়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জুন এই পাঁচতলা প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করে পূর্ণ উদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের এই প্রধান কার্যালয়ের নামকরণ করা হয় ফাদার চার্লস জে ইয়াং ভবন। ক্রেডিট ইউনিয়নের কলেবর ও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সাধারণ খ্রিষ্টভক্ত ও চার্চ নেতৃত্বের তাগিদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। একে অপরের সহায়তাকারী হিসেবে থাকাতে উন্নতি হতে থাকে খ্রিষ্টান সমাজ তথা সাধারণ খ্রিষ্টভক্তের নেতৃত্ব।

দীর্ঘ পথ চলায় ঢাকা ক্রেডিট ও এর নেতৃত্ব পেয়েছেন স্বীকৃতি। যার ফলে ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৫, ১৯৯৭ ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিট শ্রেষ্ঠ ক্রেডিট ইউনিয়ন হিসেবে জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করে; এবং শ্রেষ্ঠ সমবায়ী হিসেবে সমিতির চারজন প্রেসিডেন্ট পর্যায়ক্রমে প্রয়াত হিউবার্ট গমেজ, প্রয়াত ডানিয়েল কোড়াইয়া ও প্রয়াত অরুণ বার্নার্ড ডি’কস্তা ও বাবু মার্কুজ গমেজ যথাক্রমে ১৯৯২, ১৯৯৫, ১৯৯৭ এবং ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। আর একটি বড় সফলতা হলো ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ক্রেডিটের শিক্ষা তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে সমবায় আন্দোলন বিস্তৃত করার লক্ষে ঢাকা ক্রেডিট দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিমিটেড (কাল্ব) প্রতিষ্ঠা করে। এ ছাড়াও বর্তমানে সফলভাবে খ্রিষ্টান সমিতিরগুলোর অভিভাবক হয়ে ওঠা দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লি:(কাক্কো)-এর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ঢাকা ক্রেডিটের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিষদ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে ২১ ডিসেম্বর। পংকজ গিলবার্ট কস্তা ও ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়ার নেতৃত্বে এই ব্যবস্থাপনা পরিষদের একনিষ্ঠ শ্রম, সততা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতেৃত্বের ফলে প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য প্রডাক্ট, সেবা ও প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। সমিতির কার্যক্রমও হয়েছে বিস্তৃত। ৮ জানুয়ারি ছিল বর্তমান বোর্ডের জন্য খুবই আনন্দের একটি দিন। সমবায় সমিতি বিধিমালা ২০০৪-এর ২১ বিধি পরিবর্তনপূর্বক প্রতিস্থাপন হয়েছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ওইদিন সরাসরি সদস্যদের অংশহগ্রহণে ঢাকা ক্রেডিটের সাধারণ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে এখন থেকে প্রতিটা বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনে সদস্যরা পুনরায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমান বোর্ডের উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে করোনা অতিমারিতে ১৩২৭ জনকে মূল্যছাড়ে পণ্য, ২২৬ জনকে কমোডিটি ঋণ ও ১ হাজারের বেশি মানুষকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া মুজিব বর্ষ ও পুণ্য পিতা পোপ ফ্রান্সিসের লাউদাতো সি বর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। পালন করা হয়েছে মুজিব শতবর্ষ, জাতীয় সমবায় দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ঢাকা ক্রেডেিটর সেবাকাল ইত্যাদি।

পূর্বাচলের সন্নিকটে নিজস্ব জমিতে ডিসি রিসোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার। তারই সন্নিকটে নিজস্ব সাড়ে ২৭ বিঘা জমিতে নির্মিয়মান ৩০০ শয্যার ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল, সাথে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ। বর্তমান বোর্ডের নেতৃত্বে হাসপাতালের ৩৫ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে রয়েছে ৯টি নিজস্ব ভবন, ১২টি সেবাকেন্দ্র, ১৯টি কালেকশন বুথ, ৮৫টি প্রডাক্ট ও সেবা। রয়েছে ছয় শতেরও বেশি কর্মোজ্জল কর্মী এবং ৪৩ হাজার সক্রিয় সদস্য। সমিতির কার্যক্রম ঢাকা শহরকেন্দ্রিক শুরু হলেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও সেবা নিশ্চিতের লক্ষে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী খ্রিষ্টভক্তরা এর সদস্য।

ঢাকা ক্রেডিটের সঞ্চয়ী প্রোডাক্ট সমিতির অন্যতম চালিকা শক্তি। ৫৬ হাজার সঞ্চয়ী সদস্য প্রতি মাসেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিমাণে সঞ্চয় জমা করছেন যার পরিমাণ ৬২০ কোটি টাকা। সঞ্জিত অর্থে সদস্যরা বাসস্থান, জমি ক্রয়, চিকিৎসা ও সামাজিক কাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করেন। সর্বশেষ চালু করা হয়েছে পেনশন বেনিফিট স্কীম। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে একজন সদস্য কর্মক্ষম সময় টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন এবং তিনি যখন অবসরে যাবেন, তখন সেই সঞ্চিত টাকা থেকে পেনশন পেয়ে মর্যাদাশীল জীবন যাপন করতে পারবেন।

সঞ্চয়ের পাশাপাশি সদস্যরা আমানত জমা করে সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করছেন। অনেকে নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এই সমিতি থেকে উচ্চশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা সাপোর্ট এবং প্রফেশনাল ট্রেইনিং ঋণ গ্রহণ করে দেশ-বিদেশে উন্নত জীবন যাপন করছে। ১১শ এর অধিক সদস্য বাড়ি নির্মণ ঋণ নিয়ে করেছের তাঁদের নিরাপদ বাসস্থানের সংস্থান।

প্রতিষ্ঠানের সঞ্চিত অর্থের উপযুক্ত ব্যবহার, আয় ও সদস্যদের লভ্যাংশ বৃদ্ধির জন্য ঢাকা ক্রেডিট কাজ করছে নানা সম্ভাবনাময় লাভজনক প্রকল্প নিয়ে। ফলে লাভবান হচ্ছেন সদস্যগণ এবং সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকা ক্রেডিট শুরু করেছে এটিএম সার্ভিস, যা বাংলাদেশে সমবায় অঙ্গনে এই প্রথম এবং তা সমবায় আন্দোলনের মাইলফলক হয়ে থাকবে। শুধু আধুনিকায়নের এখানে শেষ নয়। দ্রুত তথ্য প্রদান ও সেবা নিশ্চিতের লক্ষে ঢাকা ক্রেডিটের রয়েছে অ্যাপ সার্ভিস। যার মাধ্যমে সমিতির সকল তথ্যসেবা এবং এমএফএস সার্ভিস ব্যবহার করে দ্রুত অর্থ উত্তোলন ও ট্রান্সফার করে সদস্যরা লাভবান হচ্ছেন।

সঞ্চয় ও ঋণ সেবার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন কর্মসংস্থান, বিভিন্ন শিক্ষামূলক সভা-সেমিনার করে যুব সমাজ তথা নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নেতৃত্ব গঠনে সহায়তা করা, স্বল্প মূল্যে এম্বুলেন্স সার্ভিস। রয়েছে হেলথ কেয়ার স্কীমের আওতায় সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচের আর্থিক সুবিধা, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আর্থিক সহায়তা সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও ঋণ প্রটেকশন সুবিধা ৩৫ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ধর্মীয় ও সামাজিক নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ঢাকা ক্রেডিটের রয়েছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ।

প্রচারেই প্রসার ধারণাকে মূল্যায়ন করে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ও অন্যকে সুশিক্ষিত করতে ঢাকা ক্রেডিটের প্রচার-প্রচারণায় রয়েছে সর্বাধিক অংশগ্রহণ।

ঢাকা ক্রেডিটের মিডিয়া বিভাগের অধীনে রয়েছে মাসিক সমবার্তা পত্রিকা, ডিসিনিউজ বিডিডটকম অন-লাইন নিউজ পোর্টাল ও ইন্টারনেটভিত্তিক টিভি-ডিসিটিভি।

১৯৫৫ সালে ফাদার ইয়াং-এর নেতৃত্বে যে সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের খ্রিষ্টানদের জন্য হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ক্ষুধা নির্মূল, শিক্ষা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যু হ্রাস, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত ও উন্নয়নের জন্য একটি বৈশি^ক অংশীদারত্ব বিকাশের জন্য কাজ করছে ঢাকা ক্রেডিট। সমবায় নিয়ে আসছে সমৃদ্ধ ও সুদিন।

এই চিরায়ত বাস্তবতাই ঢাকা ক্রেডিট একটি রেঁনেসা বা বিল্পব এনে দিয়েছে, যার ফলস্বরূপ একটি আর্থিক মুক্তির আন্দোলন শুরু করে এবং নাম নেয় ‘সমবায় আন্দোলন’। এক ঢাকা ক্রেডিটের ২৫ জন চিন্তাশীল মানুষের মুক্তচিন্তার সাথে আজ কোটি মানুষের আর্থিক মুক্তির সমবায় আন্দোলন অর্থনৈতিক বুনিয়াদের সক্রিয় মানদন্ড।